এখনও অশান্ত ইসলামপুর। এরইমধ্যে দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া ডিআই রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। শুক্রবার তাঁকে বিকাশ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে রবীন্দ্রনাথবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্কুল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। ছিলেন দপ্তরের আরও দুই আধিকারিক। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ পেয়েও কেন তিনি বিষয়টি জানাননি, তাঁর কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। বিক্ষোভের কারণে ১৮ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসে স্কুলের পরিচালন সমিতি। সেই বৈঠকে সমিতির পক্ষ থেকে ঠিক হয়, উর্দু ও সংস্কৃত বিষয়ের জন্য যে দু’জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা হবে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। স্কুলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। তার পরও কেন এবং কী পরিস্থিতিতে উর্দু ও সংস্কৃতের শিক্ষককে স্কুলে যোগ দিতে দেওয়া হল, তাও জানতে চাওয়া হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর কাছে।
প্রসঙ্গত, ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত ৩-৪ দিন ধরেই ক্ষোভ বাড়ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, স্কুলে বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল এবং বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে শিক্ষক কম। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক, কোনও স্তরেই ইতিহাসের শিক্ষক নেই। তাই ওই বিষয়গুলিতে আগে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, সংস্কৃত ও উর্দুর শিক্ষক নয়। স্কুলে কী কী বিষয় পড়ানো হয়, কত জন শিক্ষক, কত পদ শূন্য, কবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে শূন্যপদের তথ্য পাঠানো হয়েছিল ইত্যাদি বিষয়ও রবীন্দ্রনাথবাবুর কাছে জানতে চান দপ্তরের আধিকারিকরা। এ নিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। শুধু বলেন, ‘২০১৬ সালে শূন্যপদের যে তথ্য স্কুল আমাকে দিয়েছিল, সেটাই আমি দপ্তরে পাঠিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে স্কুলে গন্ডগোলের জেরে বৃহস্পতিবারই রবীন্দ্রনাথবাবুকে সাসপেন্ড করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, দপ্তরকে অন্ধকারে রেখেই ডিআই শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু জড়িত আছেন কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে, আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।