পাগল হয়ে গেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে এসে এমন কথাই বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই নন, দেশের বিরোধী দলের নেত্রী। সারা বাংলাজুড়ে তাঁর উন্নয়নকার্য দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ। হতাশায় ভুগছেন তিনি। তাই অনবরত মুখ্যমন্ত্রীকে গালিগালাজ করে যাচ্ছেন। উনি পাগল হয়ে গেছেন। এখন মুখে কথা বলছেন, এবার কামড়ে না দেন। চিকিৎসার জন্য ওঁকে রাঁচি পাঠানো দরকার।’
প্রসঙ্গত, আমডাঙা কান্ডে জ্যোতিপ্রিয়র নাম করে তাঁকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ। তদন্তে যেখানে উঠে আসছে বামেদের ভূমিকার কথা, সেখানে মন্ত্রীকে বোমা তৈরির কারিগর আখ্যা দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। সেসময়ই রাজনীতিবিদদের একাংশের মনে হয়েছিল, দিলীপ যেন বামেদের আড়াল করে তৃণমুল সরকারকেই কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন এবং তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই।
খাদ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, নোটবন্দি, আধার কার্ড নিয়ে মানুষের ভোগান্তি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদিজি সব টের পাবেন। এ রাজ্যে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ২২টি কেন, একটি আসনও পাবে না বিজেপি।’ খাদ্যসাথী প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, অর্জুন সিং, সুনীল সিং, পুরপ্রধান উত্তম দাস, প্রশান্ত চৌধুরি, মলয় ঘোষ প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী খাদ্যসাথী প্রকল্পের নতুন ভবন প্রসঙ্গে বলেন, ‘এবার থেকে মানুষ এই কার্যালয়ে এসে রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ জানাতে পারবেন।’ তাঁর অভিযোগ, ‘৬০ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এই ভবন তৈরি হয়েছে। এ সমস্ত নতুন ভবনের জন্য কেন্দ্রের টাকা দেওয়ার কথা। অন্য রাজ্যগুলিকে টাকা দিলেও পশ্চিমবঙ্গকে দিচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার থেকে শুধু রেশনে চাল, গম, চিনি নয়, ৪০৩ রকমের হরেক সরঞ্জাম মিলবে। টুথপেস্ট থেকে শুরু করে সাবান, মাথার তেল, এমনকি মাইক্রোওয়েভ ওভেন, টিভি, ফ্রিজও পাওয়া যাবে। সমস্ত জায়গায় নতুন রেশনিং অফিস তৈরি হচ্ছে।’ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ১ অক্টোবর থেকে কৃষকদের কাছ থেকে আউশ, আমন ধান কিনবে রাজ্য সরকার। এর জন্য আধার কার্ডের কোনও প্রয়োজন নেই।’