এখন থেকে আর দায় এড়িয়ে যেতে পারবেন না সেতু ও রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। এবার নতুন ব্রিজ ও রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থাকেই। এই সময়সীমা ব্রিজের ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং রাস্তার ক্ষেত্রে ৫ বছর। রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বহন করবে রাজ্য সরকারই। কিন্তু ব্রিজ ও রাস্তা তৈরির পর রক্ষণাবেক্ষণের অভাব হলে ধরা হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই।
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বুধবার মহাকরণে জানিয়েছেন, উল্টোডাঙা ব্রিজে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিনি ম্যাকিনটোস বার্নকে ডেকে পাঠিয়েছেন। চেন্নাই থেকে একটি বহুজাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা এসেছেন। কলকাতায় যে সমস্ত ব্রিজ রয়েছে, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন ব্রিজ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে কী করে করা যায় তা নিয়ে কথা বলতেই এই বহুজাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতার ৮টি সেতু – কালীঘাট, বিজন, ঢাকুরিয়া, বাঘাযতীন, আম্বেদকর, চিংড়িঘাটা, উল্টোডাঙা ও অরবিন্দু সেতু পরিদর্শন করবেন। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া বঙ্কিম সেতুও পরিদর্শন করবেন তিনি। বঙ্কিম সেতুর সংস্কার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন বলে আগেই রিপোর্ট দিয়েছিলেন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু সেতুর ওপর বেআইনি পার্কিং এবং আরও কিছু কারণে সংস্কার শুরু করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে কলকাতার মধ্যে সংস্কারের প্রয়োজন পড়তে পারে এমন ১৫টি সেতুর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, তালিকায় থাকা ৫টি সেতুর স্বাস্থ্য ভালই। এই সেতুগুলি হল দুর্গাপুর, ঢাকুরিয়া, চেতলা, করুণাময়ীর কাছে টালি নালার ওপরের সেতু এবং সায়েন্স সিটি ও ভিআইপি বাজারের সংযোগস্থলের সেতুটি। বাকি ১১টি সেতুর অবস্থা জানতে এরমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করে দেবে প্রশাসন এবং প্রয়োজনে দ্রুত সংস্কার করা হবে সেই সমস্ত ব্রিজের।