মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর শুরুর দিনই কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতভর অগ্নিকাণ্ডের তদারকি করে সকালে বিমানবন্দরে যান তিনি। সেখান থেকেই ফোন বারবার খোঁজ নেন। পরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই। বাজারের ভেতরেও কেউ আটকে নেই’। বিমানবন্দর থেকেই মমতা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দ্রুত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বড়বাজারের আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় যান মেয়র, পুলিশ কমিশনার, দমকলের ডিজি। রাস্তা অপরিসর হওয়ায় এবং দাহ্যবস্তু মজুত থাকায় আগুন নেভানোর কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। রাতভর চলে আগুন নেভানোর কাজ। শুধু কলকাতা পুলিশ বা দমকলই নয়, এলাকার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার কর্মীরাও আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ‘তেরাপন্থ টাস্ক ফোর্স’-এর সদস্যরাও দমকল কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগুন নেভানোয় হাত লাগান। ছুটে আসেন সাধারণ মানুষও। যারা আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন তাঁদের দিকে বাড়িয়ে দেন জলের বোতল। কালো বিষাক্ত ধোঁয়ায় নাকমুখ ঢোকার জন্য নিয়ে এসেছিলেন পাতলা মুখোশ। হাতে-হাতে সেগুলি বিলি করেছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে।