তিনি সততার প্রতীক। নীল পাড় সাদা শাড়ি আর পায়ে হাওয়াই চটি। এই তাঁর সর্বক্ষণের বেশ। বিদেশ সফরে গেলেও তার পরিবর্তন হয় না। এই নিয়েও বিরোধীরা কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর সততার প্রতীক ভাবমূর্তিতে কালি ছেটাতে চায় তারা। বিরোধীদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী পদের বেতন অনেক। সেইসব টাকা কোথায় যায়? একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিল্ড কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের এক প্রশ্নের উত্তরে অকপট জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার সামনে তুলে ধরলেন নিজের বাৎসরিক আয় এবং আয়ের উৎস। এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কার্যত বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দিলেন তিনি।
‘রাইজিং বেঙ্গল’ অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, ‘আমি সরকার থেকে এক পয়সাও নিই না৷ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যেমন কোনও বেতন নিই না, পার্লামেন্ট থেকেও কোনও পেনশন নিই না৷ পেনশনের ৭০ হাজার টাকার একটি পয়সাও গত ৭ বছরে নিইনি৷ কিন্তু আমার বছরে আয় প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা’।
এরপর ব্যাখ্যা করেন নিজের আয়ের উৎস। জানান, নিজের লেখা ৮১ টি বইয়ের রয়্যালটিই তাঁর আয়ের উৎস। এছাড়া গানের লিরিক লিখেও বেশ কিছু টাকা উপার্জন হয় তাঁর। যদিও এর বেশিরভাগই তিনি সমাজসেবার কাজে ব্যয় করেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু সরকারের থেকে কোনও টাকা না নেওয়া নয়, সরকারি পরিষেবার সুবিধাও মুখ্যমন্ত্রী নেন না বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও নিজের পুরনো গাড়িতেই দপ্তরে আসি। অন্য কোথাও যেতে হলেও নিজের গাড়িতেই যাই’। এমনকী সরকারি কাজে সার্কিট হাউসে থাকলেও সেই খরচ সরকারি কোষাগার থেকে নয়, নিজের থেকেই খরচ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।