রেলপথে জুড়তে চলেছে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলার সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে যাবে। রেলপথে ত্রিপুরার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ১,৬৫০ কিলোমিটার থেকে কমে দাঁড়াবে ৫১৫ কিলোমিটার।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ মোট ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে আগরতলা অংশে ৫ কিলোমিটার আর বাকি ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের আখাউড়া অংশে। জানা গেছে, রেলপথটি আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন হয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে শেষ হবে।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রায় ৪৭৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার এই প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থাৎ ৪২০ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা দিচ্ছে ঋণ হিসাবে দিচ্ছে ভারত। বাকি ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ।
রেলপথের পাশাপাশি তৈরি হবে কালভার্ট, প্যাসেঞ্জার প্ল্যাটফর্ম, প্ল্যাটফর্ম শেড, কাস্টমস অ্যাণ্ড ইমিগ্রেশন ভবন, এবং পরিদর্শন বাংলো।