অশুভ চক্রান্তের জন্যই তাঁর শিকাগো যাওয়া হয়নি। মঙ্গলবার বেলুড়মঠে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন শিকাগো বক্তৃতার ১২৫তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশনকে রাজ্য সরকারের তরফে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।
আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ দিন বেলুড় মঠের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমার শিকাগো যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যবশত সেখানে যাওয়া হল না। স্বামীজি যে হলে বক্তৃতা করেছিলেন সেখানে যেতে পারলাম না। এর পিছনে অশুভ চক্রান্ত রয়েছে। কেউ কেউ চাইছিল আমি যাতে না যেতে পারি।’ নাম না করে বিজেপি-র প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘আমি স্বামীজির হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি। এই ধর্ম কোথাও থেকে আমদানি করা হয়নি। অন্য কারওর কাছ থেকে আমদানি করা ব্যাখ্যা আমি শুনব না।’
স্বামীজির বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিকাগোতে এক অনুষ্ঠানে মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশন। সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু চলতি বছরের ১১ জুন হঠাৎ তাঁকে চিঠি দিয়ে ২৬ অগস্টের ওই অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা জানায় শিকাগোর বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি। পরে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়, রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে ফের জানানো হয়েছিল, মমতার ২৬ অগস্টের অনুষ্ঠান ‘পিছিয়ে’ দেওয়া হয়েছে, একেবারে বাতিল হয়নি। বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওই ঘটনায় দুঃখ পেয়েছিলাম।’ তার পর স্বামীজিকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘দেশ শাসন কর বলে মাথায় পা দিয়ে চলতে দেব না। নেতা হতে গেলে ত্যাগ করতে শিখতে হয়। নেতা সেই হয় যে দেশের-জাতির জন্য নিবেদিত প্রাণ।’