জ্যোতি বসু-র প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সিপিএমের দলীয় সিদ্ধান্তের জেরে বাঙালির সে আশা পূরণ হয়নি। জাতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি বিচার করে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আবার একজন বাঙালির প্রধানমন্ত্রীর কুর্শিতে বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালি আর এই সুযোগ হারাতে চায় না। লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর ৭ মাস। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ‘প্রধানমন্ত্রী চাই’ স্লোগানকে অস্ত্র করে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার শুরু করছে তৃণমূলের সাইবার সৈনিকেরা।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কলকাতার অহীন্দ্র মঞ্চে তৃণমূল সমর্থকদের ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলির অ্যাডমিনদের নিয়ে হবে প্রথম সভা। তার ক্যাচ ওয়ার্ড, ‘চলো বদলাই, এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই’।
আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যে ৪২ টি আসনের সবকটিতে জোড়াফুলের জয় সুনিশ্চিত করতে তৃণমূলের সাইবার সেনানীরা তৈরি করেছেন একটি আলাদা সংগঠন, ‘ফ্যাম’। সংগঠনের উদ্যোক্তাদের দাবি, ফ্যামের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল দলের কোনও সংযোগ থাকবে না। তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিসরের বাইরে যে অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী এবং সমর্থক আছেন তাঁদের আন্তর্জালে জুড়তে চাইছে ফ্যাম। ইতিমধ্যেই ২৯৪ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৬৭ টিতে তৈরি হয়েছে ফ্যাম টিম। মাসখানেকের মধ্যে বাকি কেন্দ্রগুলিতেও এই টিম গঠনের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি।
জানা গেছে, ফেসবুকে ৩০টি এবং হোয়াটসঅ্যাপে ৩০০ টি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। এরা সবাই ফ্যামের সদস্য। এই মুহূর্তে সর্বমোট সাড়ে আটশো গ্রুপ অ্যাডমিন রয়েছেন। অহীন্দ্র মঞ্চের সভায় এঁদের প্রত্যেকের উপস্থিত থাকার কথা।