এবার কেষ্টর মুখে কৃষ্ণনাম। গলায় নামাবলি, হাতে খোল। মুখে, বল হরি হরি বোল। গ্রামে ধর্মপ্রাণ মানুষদের আশীর্বাদ পেতে এবার খোল আর খঞ্জনি বিলি করবেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
এই বাংলাতেও রামনবমীর দিন বিশাল মিছিল বের করেছিল বিজেপি। এবারের জন্মাষ্টমীও ধূমধামের সঙ্গে পালন করেছে তারা। এরই পাল্টা জবাব দিতে অনুব্রতর এই কৃষ্ণ নামের প্রচার বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর ফলে হিন্দু দেবদেবীরা যে বিজেপি-র একচেটিয়া সম্পত্তি নয় তা প্রমান হয়ে যাবে।
গ্রামে গ্রামে যেসব নাম সংকীর্তনের দল আছে তাঁদেরই খোল আর খঞ্জনী দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে ৩০০০ খোল এবং ৬০০০ খঞ্জনীর বরাত দেওয়া হয়েছে। অনুব্রতর কথায়, ‘বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মায়ের আশীর্বাদ দরকার হয়। তেমনই গ্রামে ধর্মপ্রাণ মানুষদের আশীর্বাদ প্রয়োজন’।
আগে গ্রামে গ্রামে গলায় হরিকাটের মালা ঝুলিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় হরি নামের দল বের হত গ্রামের মঙ্গল কামনায়। কিন্তু এই আধুনিক সময়ে এসবই উঠে যাচ্ছে। অনুব্রত সেই ঐতিহ্য আবার ফিরিয়ে আনতে চান। পুজোর আগেই বীরভূমের
ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠান করে গ্রামের হরিনাম কীর্তনের দলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে খোল ও খঞ্জনি। গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে নামাবলি।
মোটামুটি শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে এখন। নবদ্বীপের খোল প্রস্তুতকারকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বরাত দেওয়া হয়েছে। ব্লক সভাপতির তালিকাও তৈরি। খোল ও খঞ্জনি চলে এলেই শুরু হয়ে যাবে বিলির কাজ।