এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মনকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার ও সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘােষণা আগেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার স্বপ্নার মত প্রতিভাধর ক্রীড়াবিদদের জন্য রাজ্য সরকার নয়া স্পাের্টস পলিসি (ক্রীড়ানীতি) তৈরি করতে চলেছে। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘােষণা করেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে আগামী দিনে আমরা একটা ‘স্পাের্টস পলিসি’ তৈরি করছি। নতুন স্পাের্টস পলিসির মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদদের আর্থিক ও পরিকাঠামোগত সহযোগিতার মাধ্যমে তুলে ধরবে। যেমনটা স্বপ্নার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার করতে পেরেছে। উল্লেখ্য, এশিয়ান গেমসে সােনাজয়ী স্বপ্নাকে মুখ্যমন্ত্রী ২০১৩ সালেই খুঁজে বের করে স্বীকৃতি দেয়।
স্বপ্নাকে বঙ্গরত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছিল। তখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল স্বপ্নাকে । স্বপ্নার অভাবের সংসারে এই টাকা তার অনুশীলন চালিয়ে যেতে প্রভূত সাহায্য করেছিল । এমনকি, স্বপ্না যে জলপাইগুড়ির বিশ্ববঙ্গ ক্রীড়াঙ্গনে অনুশীলন করেন , এই ক্রীড়াঙ্গন তৈরি করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার আগামী দিনে এই ধরনেরই প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের আর্থিক ও পরিকাঠামোগত সহযোগিতা করবে নতুন স্পোর্টস পলিসি মাধ্যমে। কমনওয়েলথ বা এশিয়াডে সােনা বা রুপােজয়ীদের প্রথমেই রাজার নয়া ক্রীড়ানীতির অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এছাড়াও যারা বাংলা থেকে কমনওয়েলথ, এশিয়াড বা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে বাংলা মুখ উজ্বল করবে তাদের পাশে থাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে রাজ্য সরকার। এই ধরনেক ক্রীড়াবিদদের আরো মান উন্নয়ন এবং আধুনিক পরিকাঠামােয় তাদের অনুশীলনের জন্য রাজ্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেমন আমাদের ডুমুরজলা স্পোর্টস ভিলেজ তৈরির কাজ এগােচ্ছে। ডুমুরজলাতে আরও একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখানেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ক্রিকেট অ্যাকাডেমি তৈরি করছে। এদিকে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী স্বপ্নাকে দার্জিলিংয়ে সংবর্ধনা দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আগামী ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। ঐ সময়ের মধ্যে স্বপ্ন বাড়ি ফিরে এলে তাকে দার্জিলিঙেই সংবর্ধনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও রাজ্য সরকার স্বপ্নাকে কলকাতায় থাকার ব্যবস্থা করে দেবে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।