বিজেপি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার জন্ম দিয়েছে। ওরাই ঠিক করে দিচ্ছে কার বাড়িতে কোন এজেন্সি দিয়ে হুমকি দেওয়া হবে। এমনই অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জেতার পর নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বিজেপি-র কাজের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। জানিয়ে দেন কেন্দ্র বিজেপি একের পর এক অমানবিক কাজের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বলেন, ‘দেশে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে বিজেপি। কোন সাংবাদিকের চাকরি খেতে হবে সেটাও ওরা ঠিক করে দিচ্ছে। কেজরিওয়ালের অফিসে রেড করিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র থাকলে এমন হয় না’।
কাশ্মীরের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে হেনস্থার ঘটনার নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য হতেই পারে। আগেও ছিল। তাই বলে কাউকে অসম্মান করা যায় না। স্বাধীনতা আন্দোলনে যাঁদের কোনও ভূমিকাই ছিল না, তাঁরা এখন জাতীয়তাবাদী সাজছে। ফারুক আবদুল্লার মতো বরিষ্ঠ রাজনীতিককে হেনস্থা করা হচ্ছে। এমন চলতে পারে না। এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়’।
সম্প্রতি ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকারের পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের গুলি করছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ঝাড়খন্ডবাসীরা পালিয়ে এসে কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান মমতা। বলেন, ‘বহু লোক ঝাড়খন্ড থেকে গুলি খেয়ে এসে বাংলার হাসপাতালে ভর্তি। আমাদের এখানে এটা খবর হয়নি। লোকের ওপর কেন গুলি চালাবে ওরা? এটা আমনবিক। আমাদের রাজ্যে আহত হয়ে এলে আমরা চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছি’।
দেশজুড়ে আদিবাসী ও দলিতদের ওপর গেরুয়া শিবির অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ওরা দলিতদের বাড়ি গিয়ে বলছে কী সব খাচ্ছে। প্রত্যেকের নিজের ধর্ম পালনের অধিকার আছে। তোমাদের যেটা ঠিক মনে হবে না, সেটা চাপিয়ে দেবে? এটা চলতে পারে না’। একইসঙ্গে বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমগুলি বিজেপি কিনে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আঞ্চলিক স্তরে কিছু বললেও জাতীয় স্তরে সবাইকে কিনে নিয়েছে ওরা’।