কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের ভাঙন অব্যাহত। এবার দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দলেন পরেশ অধিকারী। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন পরেশবাবুর হাতে। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, উদয়ন গুহ প্রমুখ। অসমে নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ বলে জানিয়েছেন মেখলিগঞ্জের চারবারের বিধায়ক পরেশ।
ঘটনায় জেলার ফব নেতৃত্বের মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে। আজ শনিবার পরেশবাবুর অবস্থান নিয়ে দলের বৈঠকে বসার কথা ছিল। সেই বৈঠকের দিনক্ষণ পরেশবাবুই স্থির করেছিলেন। বৈঠকে যোগ দিতে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় এদিনই কোচবিহারে এসে পৌঁছন। কিন্তু বৈঠকের আগেই যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফব’র সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে দিলেন পরেশবাবু। উদয়ন গুহের পর পরেশবাবুর ঘাসফুল শিবিরে যোগদান ফরওয়ার্ড ব্লককে এই জেলায় আরও নিঃস্ব করে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সাংবাদিক স্মমেলনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নে শামিল হওয়ার জন্য দলে আসতে চেয়ে পরেশবাবু আবেদন করেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েই পরেশবাবুকে আমরা দলে নিয়েছি। তিনি দীর্ঘদিন বামফ্রন্টের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের বড় নেতা ছিলেন। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, সেই সময়ে কাজের জন্য পরেশবাবুর কাছে যেতে হত। তিনি সব কাজই করে দিতেন। তিনি দলে আসায় স্বাভাবিকভাবেই কোচবিহারে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে’।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে পরেশবাবু বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলার উন্নয়ন করে চলেছেন। সম্প্রতি অসমে নাগরিকপঞ্জির নামে যে ভারতীয়দের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিবাদ করছেন তিনি। আমি উন্নয়নের সঙ্গে শুধু শামিল হতে নয়, অসমের বিষয় নিয়ে আমি মমতার প্রতিবাদের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে চাই’।