ট্রেনের ধাক্কায় ডুয়ার্সে ফের মৃত্যু দুটি হাতির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের বিক্ষোভ, অবরোধে বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল। ঘটনার জন্য আইন ভেঙে রেলের গতি বৃদ্ধিকেই দায়ী করেছে বন দপ্তর। রেল দপ্তরের বিরুদ্ধে এফআইআর করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দপ্তর।
শুক্রবার জলপাইগুড়ির কেরন ও বানারহাট স্টেশনের মাঝে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারগামী ডিইএমইউ ট্রেনের ধাক্কায় দুটি হাতির মৃত্যু হয়। ডায়না চা বাগান থেকে জঙ্গলের দিকে ফিরছিল হাতির দল। ট্রেন লাইন পেরনোর সময় দলের শেষে থাকা পূর্ণবয়স্ক মা ও একটি শাবক হাতিকে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুটি হাতির।
দিনের বেলা পরিষ্কার আবহাওয়াতেও কেন এই দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না? তাই নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বনকর্তারা। ঘটনার জন্য রেলকেই দায়ী করে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘রেলের ধাক্কায় একের-পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। পরিষ্কার দিনের আলোয় এই দুর্ঘটনা হয়েছে। ফলে ট্রেনের ড্রাইভার হাতি দেখতে পাননি, এমনটা সম্ভব নয়। গতি না মেনে অসতর্ক ভাবে ট্রেন চালানোর জন্যই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে।’
জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলার সময় দুর্ঘটনা কীভাবে এড়ানো যায়, তা নিয়ে রেল ও বন দপ্তরের মধ্যে আগেও সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তার পরেও ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু কমছে না।
পর পর হাতি মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। রেলকর্তারা অবশ্য দুর্ঘটনার দায় নিতে নারাজ। রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম চন্দ্রবীর রামন বলেন, ‘রেললাইনের আশপাশে হাতির গতিবিধি সম্পর্কে ঠিক সময়ে রেল দপ্তরকে জানানো হয়নি। জানালে চালককে সতর্ক করে দেওয়া যেত। ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রিত সীমার মধ্যেই ছিল।’
দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তরজার চলছে তার নিজস্ব নিয়মে। বাস্তব হল ট্রেনের ধাক্কায় প্রায়শই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ প্রাণীগুলো।