পরিণত ‘অ্যাকোয়া হাব’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে হলদিয়া। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষযোগ্য প্রায় সব মাছই সাফল্যের সঙ্গে চাষ হচ্ছে এখানে। জৈব জুস প্রয়োগে উৎপাদন হচ্ছে সুস্বাদু মাছ। স্পেসিস ডাইভারসিফিকেশন ইন অ্যাকোয়াকালচারের সর্বাত্মক প্রয়োগও হচ্ছে এখানকার হ্যাচারিতে। তাই পরিণত ‘অ্যাকোয়া হাব’ হতে চলেছে হলদিয়া।
হলদিয়া ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমনকুমার সাউ বলেন, ‘মাছের বেশি উৎপাদনশীলতা, মৎস্য প্রজাতি বিন্যাস, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও মৎস্য চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন–সহ বিভিন্ন বিষয়ে হলদিয়া সারা রাজ্যে এখন অনন্য। মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়ন ও মাঠপর্যায়ে হস্তান্তর, চাষি প্রশিক্ষণ, লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তি প্রদর্শন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে হলদিয়ায় মাছ চাষের নীরব বিপ্লব হচ্ছে।’ এখানে মিষ্টি জলের রুই, কাতলা, মৃগেলের সঙ্গে ঈষৎ নোনা জলের বাগদা ও ভেনামি চিংড়ির চাষও হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া জিওল, মাগুর, শিং, কই চাষ হচ্ছে। সাফল্যের সঙ্গে চাষ হচ্ছে সরপুঁটি, চিতল, পাঙাস, পাবদা ও ট্যাংরা। নতুনত্বের মধ্যে আমুর কার্প, জয়ন্তী রুই, গিফট তেলাপিয়া, মুক্তোগাছা, মিল্ক ফিশেরও চাষ রাজ্যে প্রথম শুরু হয়েছে হলদিয়ায়। বিদেশের বাজারে সুনাম অর্জন করেছে হলদিয়ার গলদা ও কঁাদা কঁাকড়া।