রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তর আন্তর্জাতিক বাজারে অর্কিডের বিপুল চাহিদাকে পাখির চোখ করেছে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে দার্জিলিঙের সিম্বিডিয়াম অর্কিডের প্রচুর চাহিদা। ইউরোপের বাজার ছাড়াও, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাজারেও রপ্তানি করা হবে বাংলার অর্কিড।
এই অর্কিডের চাষ খুব সস্তায় করা যায় গ্রিনহাউস ছাড়াই। যদিও, চাষ শেষ হলেই খুব তাড়াতাড়ি উড়োজাহাজে করে তা বিদেশে পাঠাতে হবে। সেই লক্ষ্যেই দপ্তরের আধিকারিকরা এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সাথে কথা বলছেন যাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আরও করে তুলে এখান থেকে আরও বেশী সংখ্যক আন্তর্জাতিক বিমান চালানো যায়।
পরিবহনের বিষয় ছাড়াও প্যাকেজিং-এর বিষয়টিও নজরে রাখা হয়েছে। বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করতে গেলে প্যাকেজিং-ও বিশ্বমানের হওয়া উচিত। এর ফলে বাড়ে ফুলের আয়ু। এর জন্য বর্তমানের করগেটেড কার্ডবোর্ড বাক্সের বদলে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং করা হবে।
সিম্বিডিয়াম অর্কিডের গর্ভধারণকাল চার থেকে ছয় বছর। চেষ্টা করা হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাতে কম সময়ে আরও বেশী পরিমানে অর্কিড চাষ করা যায়।
মার্চ মাসে দার্জিলিঙে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী সিআইআই কে সিঙ্কোনা, অর্কিড, ঔষধি গাছ ফলনের জন্য ডিপিআর তৈরীর নির্দেশ দেন।