সরকারি-বেসরকারি বাসের প্রতি স্টেজে ভাড়া বাড়ছে এক টাকা করে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাস-ট্রাকের মালিক সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ অন্যরা। বৈঠকের পর পরিবহণমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বাসের ভাড়া প্রতি স্টেজে এক টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। এরপরই ধর্মঘটের রাস্তা থেকে সরে এসেছেন বাস মালিকরা।
ট্যক্সির ভাড়াও সমহারে বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ধর্মঘটী ট্যাক্সি মালিকরা জানিয়েছেন, ভাড়া কতটা বাড়ছে, তা দেখেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে কি না সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে, ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব জানিয়েছে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ১৮ জুন থেকে লাগাতার ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচি এ রাজ্যেও বহাল থাকবে।
কী পরিস্থিতিতে সরকারকে বাসভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, তা এদিন ব্যাখ্যা করে শুভেন্দুবাবু বলেন, সরকার তথা পরিবহণ দপ্তর বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এমন একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হচ্ছে, যা আমরা চাই না। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাড়া না বাড়িয়ে বিকল্প পথে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন। এটাই আমাদের নীতি। কিন্তু বিজেপি সরকার একের পর এক জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে। যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে, তাতে পরিবহণশিল্প ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেই জায়গা থেকে এই শিল্পে প্রাণ সঞ্চারের জন্যই ভাড়াবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তার জন্য আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, শহর-শহরতলির বাসের পাশাপাশি জেলার, দূরপাল্লার বাস, ট্রাম এবং জলযানের ভাড়াও বাড়ছে সমহারে। আজ, বৃহস্পতিবার ভাড়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে। কবে থেকে নয়া ভাড়া লাগু হবে, তা সেই বিজ্ঞপ্তিতেই উল্লেখ করা থাকবে বলে খবর। যেহেতু জ্বালানির দাম হামেশাই ওঠা-নামা করছে, তাই তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কীভাবে ভাড়ার কাঠামো পরিবর্তন করা হবে, তা ঠিক করতে একটি কমিটি তৈরি করা হবে। সেই কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে বলে দপ্তর সূত্রের খবর।
ভাড়াবৃদ্ধি প্রসঙ্গে এদিন বাস মালিকদের প্রায় প্রতিটি সংগঠনই জানিয়েছে, যা দাবি করা হয়েছিল, সেই মতো ভাড়া বাড়ল না। তবে যা বাড়ল, তা মন্দের ভালো।




