পেট্রোল- ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার যখন চাপে তখন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরমের । তিনি একটি ট্যুইটে দাবি করেছেন , সরকার চাইলেই ২৫ টাকা কমিয়ে দিতে পারে পেট্রোলের দাম। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দাবি এই মুহূর্তে পেট্রোলে লিটার প্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত মুনাফা হয় সরকারের, যার ন্যায্য দাবিদার সাধারণ মানুষ। সরকার চাইলেই মুনাফা কমিয়ে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । যদিও মোদী তা করবেন না।
কর্ণাটক ভোট মেটার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবেই বেড়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দু দিন আগেই সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙেছে জ্বালানি, কিন্তু তার পরেও অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি। আজও পেট্রোলে লিটার প্রতি ৩০পয়সা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি ২৬ পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে শহর কলকাতায় আজ পেট্রোলের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৮৩ পয়সা। অন্যদিকে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭০ টাকা ৮৯ পয়সা। কর্ণাটকে ভোট শেষ হওয়ার পরই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই ভারত পেট্রোলিয়াম, ইন্ডিয়ান ওয়েল এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মত আধা সরকারি সংস্থাগুলো। দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমে যাওয়ায় সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।
এদিকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারেও। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম উর্ধমুখী। ইতিমধ্যে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছে বেঙ্গল ট্যাক্সি এসোসিয়াশন-সহ বেশ কয়েকটি বেশ কয়েকটি পরিবহন সংস্থা। ভাড়া বৃদ্ধি না হলে ধর্মঘটে যাওয়ার ও হুমকি দিয়েছে তাঁরা।