কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ মঞ্চ অবধি পৌঁছাতে বেশ কিছুটা হেঁটে যেতে হয়। এই ঘটনায় নাকি তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং দেবেগৌড়ার কাছে বিষোদ্গার করেন। ফলস্বরূপ নাকি কর্ণাটকের ডিআইজিকে অপসারণ করা হয়েছে।
আমরা যারা দিদিকে চিনি, তারা সবাই জানি দিদি মানে হাঁটা। মনে পড়ে ২০১১র ২০শে মে? শপথের পর তিনি ২ কিমি হেঁটে রাজভবন থেকে রাইটার্স গেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারই হোক কিংবা জেলা সফর – দিদির যে হাঁটতে ভালোবাসেন এটা সর্বজনবিদিত। তিনি নানা ইন্টারভিউতে নিজেই বলেছেন যে তিনি দিনে ১৬ কিমি হাঁটেন।
তাই, বিজেপির পেটোয়া যে সব সংবাদমাধ্যম বলছে দিদিকে হাঁটতে হয়েছে বলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাচার করছেন। আসলে গতকাল বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীদের মধ্যমণি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিও জানে দিদিই আসল প্রতিপক্ষ। তাই তারা দিদির চরিত্রহনন করতে উদ্যত।
রামেদের সাথে যোগ দিয়েছে বামেরাও। রামে-বামের ট্রোল বাহিনী কুৎসা আর মিথ্যার প্যাকেজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ভরিয়ে দিচ্ছে।
বাংলার মানুষ তাদের দিদিকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে চেনে। তারা কোনোদিনও এই সব গাঁজাখুরি গপ্প মেনে নেবেন না।