জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মানুষের বিজয়কেতন উড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গুঁড়িয়ে গেল অধীর-গনিখান এর গড়। মুর্শিদাবাদ, মালদাতে ফুটল ঘাসফুল। দু বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনেও গড় ধরে রাখতে সফল হয়েছিল কংগ্রেস। এবার মুখ থুবড়ে পড়লো তারা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের জোয়ারই তার মূল হাতিয়ার – বারবার বলছেন শুভেন্দু।এই দুই জেলার দায়িত্ব শুভেন্দুর হাতে দিয়েছিলেন মমতা। আস্থার যোগ্য মর্যাদা দিলেন শুভেন্দু। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন কংগ্রেস নেতৃত্ব কোর্টে লড়াই করাতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। তার প্রভাবেও পড়েছে এবারের নির্বাচনে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল এর পর শুভেন্দু অধিকারীও পরিষ্কার বলেন – ” গনিখান চৌধুরী সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখনকার গনি পরিবার সিপিএমকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে। ফলস্বরূপ কংগ্রেসের সমর্থন তলানিতে পৌঁছে যাচ্ছে ক্রমশ। সেই ভাঙন রোখার ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের। তার ফলেই এই শোচনীয় ফলাফল।”
মুর্শিদাবাদে অধীর মিথ ও মালদায় গনিখান মিথ ভেঙে তৃণমূলের জয় জয়কার হয়েছে। অধীরের গড়ে একা তৃণমূল কংগ্রেসে দাপট দেখিয়েছে। কংগ্রেস ও বামেরা একবারে সাইনবোর্ড।
মুর্শিদাবাদে ৭২টি জেলা পরিষদ আসনের ৬৯টিই তৃণমূলের দখলে। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র একটি আসন। মালদায় ৩৮ টি মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে ২৯, কংগ্রেস সেখানে মাত্র ২ ।
লড়াকু নেতা শুভেন্দুর হাত ধরে ইতিহাস তৈরী হল মুর্শিদাবাদে , মালদায়।
সাংগঠনিক দক্ষতার জেরে আর মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে হাতিয়ার করে অধীর-গনি গড় ধূলিসাৎ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।