১
ও সখী নীরব থাকিস
তুই নীরব থাকিস
অনেকেই শিখে নিতে পারেননি এই গান, কিন্তু এর মর্ম তাঁদের চেতনায়। ফলে গৌ গাবৌ গাব– বীজমন্ত্র সম্বল। এবং গরুর রচনা যাঁরা শিখতে শেখাতে ও বলতে এবং বলাতে অনভ্যস্ততা শুধু নয়, একটু ঘাড় বেঁকা হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন তাঁদের সঞ্চয় পরিশীলিত ও পরিকল্পিত বা অপরিকল্পিত অবহেলা।
কিন্তু কথায় আছে, বেলা হলে বুঝবে মাসী কী কাম করিসো। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। বিদ্বেষ সম্বল করে যাঁরা বিজেপির জয়যাত্রায় পাঞ্চজন্য বাজিয়ে ছিলেন, সেই আসামবাসী বাংলাভাষীদের এক বড় অংশকে এক চরম সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। দিতে হবে চরম মূল্য।
২
আসামে বাংলাভাষীদের বাস দীর্ঘকাল । ১৮৩৮ থেকে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটিশ আমলে আসামের শিক্ষার মাধ্যম ছিল বাংলাভাষা।
১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান হোসেন শাহ আসাম দখল করেন। তখন থেকেই আসামে বাংলাভাষীদের বসবাস শুরু। ষোড়শ শতকে কোচ রাজা বিশ্ব সিংহের নেতৃত্বে কোচ রাজবংশের পত্তন। এই বংশের রাজা নরনারায়ণ বাংলায় চিঠি লিখেছেন। পরে আসামে উনিশ শতকের শুরুতে বর্মীদের আধিপত্য হয় । বর্মীদের দেশ আরাকান। সেখানেও সরকারি কাজের ভাষা ছিল বাংলা। সপ্তদশ শতক থেকেই।
উনিশ শতকে ১৮২৪ এ বর্মীদের হঠিয়ে এল ইংরেজ।
১৮৩২-৩৩এ কাছারি রাজ্যকে জুড়ে দেওয়া হল আসামের সঙ্গে।
১৮২৬ থেকে ব্রিটিশ শাসনাধীন আসাম ছিল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সঙ্গে।
১৮৭৪ এ আসামকে বাংলা থেকে আলাদা করা হল। চিফ কমিশনার্স প্রভিন্স নামে একটা নতুন শাসনক্ষেত্র তৈরি করে তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল শ্রীহট্ট তথা সিলেটকেও।
এই সময় শ্রীহট্ট/ সিলেটের মানুষ তীব্র প্রতিবাদ করেন।
বাংলার বদলে অসমীয়াকে করা হল রাজভাষা বা অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ।
১৯০৬ থেকে ১৯১১ বঙ্গভঙ্গের শিকার হল। পূর্ববঙ্গকে জুড়ে দেওয়া হল চিফ কমিশনার্স প্রভিন্সের সঙ্গে। পরে তীব্র আন্দোলনের ফলে ১৯১১তে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়। কলকাতা রাজধানী থাকল না। দিল্লিতে রাজধানী চলে গেল।
আর শ্রীহট্টের মানুষ পড়লেন নতুন সংকটে।
এর মাঝে ১৯২৬ থেকে নিয়ে আসা হতে লাগল মুসলিম কৃষকদের দু টাকা করে রাহা খরচ দিয়ে। আসামের জুম প্রথার চাষ। ফসল কম। রাজস্বও। দেশভাগের আগে পর্যন্ত চলল এই ধারা।
আসামে নতুন কৃষি বিদ্যার পত্তন করলেন এই চাষীরা।
৩
দেশভাগের আগে হল গণভোট। শ্রীহট্ট যাবে কোনদিকে?১৯৪৭এর ৭ জুলাই গণভোট। ৫৬হাজার ভোটের ব্যবধানে শ্রীহট্ট গেল পাকিস্তানের দিকে। এই শ্রীহট্ট সুরমা উপত্যকা। যে উপত্যকার সন্তান হেমাঙ্গ বিশ্বাসরা।
৪
দেশভাগের পর বাধল বাংলাভাষী বিরোধী দাঙ্গা।
৫০০০০( পঞ্চাশ হাজার) মানুষ পালালেন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে । ৯০০০০ (নব্বই হাজার) পালালেন আশ্রয়হীন হয়ে বরাক উপত্যকায়।
৪
এই ঘটনার পিছনের ইতিহাস অনুসন্ধানে জানা যায়,
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সিদ্ধান্ত নিল, অসমীয়া ভাষা হবে প্রদেশের একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা। এর প্রতিবাদ করেন বাংলাভাষী মানুষের দল। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় সমস্যা বাড়ে। একদল উগ্র অসমীয়া বাংলাভাষীদের ওপর আক্রমণ করে। জুলাই ও সেপ্টেম্বরে হিংসা প্রবল আকার ধারণ করে। “৫০,০০০ বাঙালি হিন্দু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যায় । অন্য ৯০,০০০ মানুষ বরাক উপত্যকা ও উত্তর-পূর্বের অন্যত্র পালিয়ে যায়। ন্যায়াধীশ গোপাল মেহরোত্রার নেতৃত্বে এক ব্যক্তির একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কামরূপ জেলার গোরেশ্বর অঞ্চলের ২৫টি গ্রামের ৪,০১৯টি কুঁড়েঘর এবং ৫৮টি বাড়ি ধ্বংস ও আক্রমণ করা হয়; এই জেলা ছিল সহিংসতার সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকা। নয়জন বাঙালিকে হত্যা করা হয় এবং শতাধিক লোক আহত হয়।” সূত্র: উইকিপিডিয়া
এই সময় আসাম সরকার উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালেন।
১০ অক্টোবর, ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চলিহা অসমীয়াকে আসামের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতিদানের প্রস্তাব করেন। উত্তর করিমগঞ্জ-এর বিধায়ক রণেন্দ্রমোহন দাসের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রস্তাবটি ২৪ অক্টোবর বিধানসভায় গৃহীত হয়।
জোর করে বাঙালীদের ওপরে অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের তাগিদে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি কাছাড় গণ সংগ্রাম পরিষদ সংগঠন জন্ম নেয়। ১৪ এপ্রিল তথা পয়লা বৈশাখ শিলচর, করিমগঞ্জ আর হাইলাকান্দিতে পালিত হয় সংকল্প দিবস। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিন ধরে চলে দীর্ঘ টানা পদযাত্রা । ‘২ মে তে শেষ হওয়া এই পদযাত্রাটিতে অংশ নেওয়া সত্যাগ্রহীরা প্রায় ২০০ মাইল উপত্যকাটির গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার চালিয়েছিলেন। পদযাত্রার শেষে পরিষদের মুখ্যাধিকারী রথীন্দ্রনাথ সেন ঘোষণা করেছিলেন যে, যদি ১৩ এপ্রিল,১৯৬১ সালের ভিতর বাংলাকে সরকারী ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা না হয়, ১৯ মে তে তাঁরা ব্যাপক হরতাল করবেন। ১২ মে তে অসম রাইফেল, মাদ্রাজ রেজিমেন্ট ও কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনী শিলচরে ফ্ল্যাগ মার্চ করে।১৮ মে তে অসম পুলিশ আন্দোলনের তিনজন নেতা নলিনীকান্ত দাস, রথীন্দ্রনাথ সেন ও বিধুভূষণ চৌধুরী (সাপ্তাহিক যুগশক্তির সম্পাদক) কে গ্রেপ্তার করে’। ( সূত্র: উইকিপিডিয়া )
৫
‘১৯ মে তে শিলচর, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে হরতাল ও পিকেটিং আরম্ভ হয়। করিমগঞ্জে আন্দোলনকারীরা সরকারী কার্যালয়, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্ট ইত্যাদিতে পিকেটিং করেন। শিলচরে তাঁরা রেলওয়ে স্টেশনে সত্যাগ্রহ করেছিলেন। বিকেল ৪টার সময়সূচির ট্রেনটির সময় পার হওয়ার পর হরতাল শেষ করার কথা ছিল। ভোর ৫:৪০ এর ট্রেনটির একটিও টিকিট বিক্রি হয় নি। সকালে হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে অতিবাহিত হয়েছিল। কিন্তু বিকালে স্টেশনে অসম রাইফেল এসে উপস্থিত হয়।
বিকেল প্রায় ২:৩০র সময় ন’জন সত্যাগ্রহীকে কাটিগোরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি ট্রাক তারাপুর স্টেশনের (বর্তমানের শিলচর রেলওয়ে স্টেশন) কাছ থেকে পার হয়ে যাচ্ছিল । পিকেটিংকারী সকলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভয় পেয়ে ট্রাকচালক সহ পুলিশরা বন্দীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর কোনো অসনাক্ত লোক ট্রাকটি জ্বালিয়ে দেয়, যদিও দমকল বাহিনী এসে তৎপরতার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর প্রায় ২:৩৫ নাগাদ স্টেশনের সুরক্ষায় থাকা প্যারামিলিটারী বাহিনী আন্দোলনকারীদেরকে বন্দুক ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। এরপর সাত মিনিটের ভিতর তাঁরা ১৭ রাউণ্ড গুলি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চালায়। ১২ জন লোকের দেহে গুলি লেগেছিল। তাঁদের মধ্যে ন’জন সেদিনই নিহত হয়েছিলেন; দু’জন পরে মারা যান। ২০ মে তে শিলচরের জনগণ শহীদদের শবদেহ নিয়ে শোকমিছিল করে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছিলেন’। ( উইকিপিডিয়া)।
এই ঘটনার পর অসম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
সত্যাগ্রহীদের উপর লাঠিচার্জ, বরাক ভাষা আন্দোলনে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে
যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন:
কানাইলাল নিয়োগী,চন্ডীচরণ সূত্রধর,হিতেশ বিশ্বাস,সত্যেন্দ্রকুমার দেব,কুমুদরঞ্জন দাস,সুনীল সরকার,তরণী দেবনাথ,শচীন্দ্র চন্দ্র পাল,বীরেন্দ্র সূত্রধর,সুকোমল পুরকায়স্থ এবংকমলা ভট্টাচার্য।
এছাড়াও আসামেই বাংলা ভাষার জন্য ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট আরো একজন শহীদ হন:
বিজন চক্রবর্তী এবং
১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই শহীদ হন দুজন:
জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস।
৬
এখন এসেছে নতুন সমস্যা।
নাগরিকপঞ্জি করণের নামে এক কোটি উনত্রিশ লাখ মানুষের নাম নাই। তাঁরা বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন। কয়েক লাখ মানুষ ডি ভোটার তথা ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ভোটার চিহ্নিত হয়ে ছটি বন্দিশিবিরে। জার্মানির হিটলারি কায়দায় অত্যাচার সেখানে। এখানে হিন্দু মুসলমান– সব ধরনের মানুষ ই বন্দি।
একদা বামপন্থীদের ভোটার এখন বিজেপি ভক্ত একদল ভেবেছিলেন — মুসলিমরা জব্দ হবে নাগরিক পঞ্জির ফলে। এখন দেখা যাচ্ছে, ৮০% হিন্দুর নাগরিকত্ব ঝুলে।
ভোটার কার্ড , প্যান কার্ড, আধার কার্ড — কোন কিছুই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। বলছে, জমির দলিল চাই। তাও ১৯৭১র আগের।
বেশিরভাগ উদ্বাস্তুদের তা নেই।
এছাড়া আছে প্রতিহিংসার খেলা। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের নাম নাই তালিকায়। বিজেপির এক এম এল এ কিশলয় বাবুর পরিবারকেও বলা হয়েছে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে।>/p?
৭
এখন প্রবল বিক্ষোভ। তা ঠেকাতে বিজেপিপন্থীরা দেখাচ্ছেন নাগারিকত্ব বিল ২০১৬।
তা পাস হবে কি না কেউ জানে না। হলে কবে? আর বিজেপির তো ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে নাগরিকত্ব আইন এনেছে। যাতে ১৯৭১ এর পর আসা সবাইকে বেআইনি বসবাসকারী বলা হয়েছে। সেই আইন তো বাতিল করেনি। করবে বলে মনেও হয় না।
নতুন বিলে নাকি সার্ক দেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই আইন আদালতে টিকতে পারবে না। কারণ ধর্ম বেছে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। বিজেপি নিজেও এটা জানে। আর জানে বলেই , আসামের মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই বিল মানব না।
৮
আসলে নাগরিকপঞ্জি বিরোধী যে আন্দোলন বিরোধী হিন্দু মুসলমানের যৌথ আন্দোলন ভাঙতেই এই নাগরিকত্ব বিলের গল্প। দু বছর পার । কেন আইন করেনি?
কেন নাগরিক পঞ্জির নামে মানুষকে হয়রানি।
ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তি আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন।
এখন চেষ্টা— হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা বাধিয়ে পরিস্থিতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া।
৮
পশ্চিমবঙ্গের মানুষের লেখা দরকার। উলুবেড়িয়াতে এক জনসভায় বাংলার নতুন বর্গী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকপঞ্জি করণ করব।
ভাবছেন, মুসলিমরা জব্দ হবে।
মুসলিমদের ৯৯% ভূমিপুত্র। দেখেছেন চোখের সামনে বাংলাদেশি মুসলিম এখানে বাস ব্যবসা বা চাকরি করতে?
উদ্বাস্তুদের বেঁচে থাকাই দায় ছিল। জমি কিনবে কি করে? ১৯৭১র আগে। সাধু সাবধান।
৯
আসাম থেকে পশ্চিমবঙ্গ না শিখলে বড় বিপদ।
‘মাথার ওপর বাঘের মতো থাবা উঁচিয়ে বসে থাকা এক ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা নিয়ে এবারের উনিশ মে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। উনিশ আমাদের এই ভয়ঙ্কর শক্তিকে ভয় না পেতে শেখায়, উনিশ আমাদের লড়াই-এর গান গাইতে শেখায়। এবারের উনিশ আসামের ভাষিক সংখ্যালঘু মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর উনিশ। আসুন আমরা সবাই মিলে এবারের উনিশে সামিল হই, আওয়াজ তুলি –
• আসামে বসবাসকারী ভাষিক সংখ্যালঘু মানুষকে বিদেশী বানানোর চক্রান্ত মানছি না মানব না।
• ২০১৪ এর ভোটার তালিকা মেনে সকলকে নাগরিকত্ব প্রদান করতে হবে।
• নাগরিকপঞ্জী নবায়নের নামে ভাষিক সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চক্রান্ত মানছিনা মানবনা।
• এনআরসি প্রক্রিয়ায় ডি-ভোটারদের পরিবারের আবেদন পত্র গ্রহণ না করার নতুন অধ্যাদেশ বাতিল করো !
• আসামের ভাষিক ও জনগোষ্ঠীগত বৈচিত্র্য মেনে নিয়ে সব রকমের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন।
মাটির দিকে তাকাও সে প্রতীক্ষা করছে, তুমি মানুষের হাত ধর সে কিছু বলতে চায়’।
এই আহ্বান ভাষা ও চেতনা সমিতির। এই আহ্বান শিলচরের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের।
( ইমানুল হক : অধ্যাপক, লেখক ও সমাজকর্মী )
( মতামত লেখকের ব্যক্তিগত )