রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে বাংলার রাজভবনে আসার পর থেকেই জগদীপ ধনকরকে নিয়ে যেভাবে চর্চা হচ্ছে, তা রীতিমতো চমকপ্রদ। যাদবপুর হোক বা করোনা, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত এখন প্রায় প্রতিদিনের বিষয়। কিন্তু উম্পুন বিধ্বস্ত বাংলার পরিস্থিতিকে রাজ্যপাল ‘ন্যূনতম’ লেখায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল বাংলার সাধারণ মানুষ। তারপর নিজের এই ‘ভুল’ শুধরে নেন জগদীপ ধনকর। তবে, সহযোগিতার রাস্তা থেকে ফের কয়েক কদম দূরে সরে গেলেন তিনি। এবার সেনা ডাকতে কেন এত দেরি করলেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে টুইট করে বিঁধলেন রাজ্য সরকারকে।
কলকাতার পথে সেনার উদ্ধারকার্যের একটি ছবি দিয়ে রাজ্যপাল এদিন টুইটারে লেখেন, ‘উম্পুন আছড়ে পড়ার আগে থেকেই সেনাবাহিনী প্রস্তুত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার অনেক পরে তাঁদের কাজে নামিয়েছে। শুধু শুধু এতজন মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হল। সেনা খুব অল্প সময়ের মধ্যে দারুণ কাজ করেছে।’ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ, রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখুন। সেটা রাখলে তিন দিন আগেই সেনাবাহিনীকে তলব করা যেত। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য দিন। অতিরঞ্জিত হিসাব দিলে তার ফল উল্টো হবে।’
যদিও বরাবরের মতোই এভাবে নোংরা আক্রমণের পর বিষয়টিকে কিছুটা হালকা করতেই তিনি নিজের কৃতিত্বের বিষয়টিও তুলে আনেন। লেখেন, ‘সাধারণ মানুষকে বলব, এখন শান্ত থাকুন। এখন সহ্য করুন। প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় পরেও পাবেন। আমি উদ্ধারকারী সংস্থাগুলিকে বলেছি, শহরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবার শেষে রাজভবনে আসবেন। এখন নয়।’ স্বাভাবিক কারণেই সমস্ত ক্ষেত্রেই রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল শিবিরও। তাঁদের বক্তব্য, ‘এখন কাজের সময়। রাজ্যপাল ট্যুইট করেই ক্ষান্ত থাকেন। কিন্তু এখন মানুষকে পরিষেবা ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’