কেটে গিয়েছে দশ-দশটা বছর। আর বিজেপি রয়েছে বিজেপিতেই। বরাবরের মতোই নির্বাচনের বৈতরণী পেরোতে মেরুকরণের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করেছে গেরুয়াশিবির। কিছুদিন আগে রাজস্থানে নির্বাচনী ভাষণে সরাসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচন কমিশনে এই মর্মে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। কয়েকদিন চুপ থাকার পর, অবশেষে পদক্ষেপ করল কমিশন। নোটিশও পাঠানো হল। তবে তা অভিযুক্তকে অর্থাৎ মোদীকে নয়! বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডাকে পাঠানো হয়েছে সেই নোটিশ। নোটিশে বলা হল, “আপনার দলের তারকা প্রচারককে সংযত করুন।”
স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। মোদীর নামে নোটিশ পাঠানোর কেন সাহস হল না কমিশনের? উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির দিলীপ ঘোষ, কংগ্রেসের রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, সুপ্রিয়া শ্রীনেত, সরাসরি কমিশনের নোটিশ পেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে কেন পৃথক ফল, তা নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। গত ২১শে এপ্রিল রাজস্থানে জনসভায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিদ্বেষ ভাষণ দিয়েছেন মোদী, এই মর্মে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস, সিপিআই এবং সিপিআইএমএল। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়েই, নোটিশ ইস্যু করতে হয়েছে কমিশনকে, এমনই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।