সংক্রামিত ব্যক্তির কাছাকাছি না গেলে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই বলেই এতদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। সেই নির্দেশ থেকে সরে এবার সবাইকে বাড়ির বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। তবে সার্জিক্যাল মাস্কের প্রয়োজন নেই, ঘরে তৈরি মাস্ক পরলেই হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঘরে তৈরি পুনর্ব্যবহার যোগ্য মাস্ক এবার থেকে বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে পরতেই হবে। নয়া নির্দেশিকায় এই কথা জানা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যাদের বাস, তাঁদের বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
এই ধরনের মাস্ক একজনেরটা অন্যজন ব্যবহার করতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে। বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের জন্য ঘরেই দুটো করে কাপড়ের মাস্ক বানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিবার মাস্ক ব্যবহারের পর ভালো করে কেচে রোদে শুকিয়ে নিতেও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লকডাউন ঘোষণা করেও পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই তিন হাজার ছুঁইছুঁই। করোনার বলি এখনও পর্যন্ত ৬২ (তিন বিদেশি-সহ ৬৫)। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশের যোগদানকারী হাজার হাজার ব্যক্তি। দেশ, বিদেশ থেকে সেখানে যাওয়া মানুষজনকে চিহ্নিত করতে কার্যত হিমশিম দশা প্রশাসন, পুলিশ কর্তাদের। ইতিমধ্যেই তাঁদের বেশ কয়েকজনের শরীরে নোভেল করোনার জীবাণু মিলেছে। বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা। কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে কয়েক হাজার জনকে। চিন্তা বাড়াচ্ছে মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তির সংক্রমণও।