মোদীর ডাকে গোটা দেশ সাড়া দিলে বড় রকমের বিদ্যুৎ বিপর্যয় হতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে, দেশ জুড়ে ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির আলো নেভানো হলে আচমকা জোরাল ধাক্কা খেতে পারে পাওয়ার গ্রিড। আর সব থেকে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে সেই ৯ মিনিট শেষ হওয়ার পরে। কারণ ৯টা বেজে ৯মিনিটের পরেই দেশ জুড়ে বিদ্যুতের বিপুল চাহিদা তৈরি হবে। এর ফলেই বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী নীতিন রাউতের দাবি, একসঙ্গে সব আলো নেভালে ভেঙে পড়তে পারে গ্রিড ব্যবস্থা। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জরুরি পরিষেবা। আর সেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে। এর ফলে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে গোটা দেশ। নীতিন রাউতের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কথা মতো সকলে প্রদীপ জ্বালান কিন্তু আলো নেভাবেন না।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা সঙ্কটে যে অন্ধকার তৈরি হয়েছে, তা শেষ করতে আলোর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য ১৩০ কোটি দেশবাসীকে ‘মহাশক্তি’ জাগ্রত করার আর্জি জানান তিনি।
মোদীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবারই খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘এটা কোনও ‘দুর্ঘটনা’ নয়। রামনবমীর সকাল ৯টায় ৯ মিনিট বক্তৃতা করে ৫/৪ তারিখে রাত ৯টায় ৯মিনিটের জন্য আলো নেভানোর আবেদন জানিয়েছেন। আসলে উনি ৯ সংখ্যা দিয়ে হিন্দুত্বের ডাক দিয়েছেন। এটা কি রামের ভরসায়?’
তবে মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী নীতিন রাউতের যুক্তি অন্য। রাজ্যের জনসাধারণের প্রতি একটি বার্তায় নীতিন জানিয়েছেন, ‘একসঙ্গে সব আলো নিভিয়ে দিলে বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বড় ফারাক তৈরি হবে। এমনিতেই লকডাউনের জন্য কল-কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ২৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে চাহিদা নেমে ১৩ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।’ নীতিনের আরও দাবি, ‘একসঙ্গে সব আলো নিভিয়ে দিলে ব্ল্যাকআউট হতে পারে। তখন পুরো পরিষেবা ফের চাঙ্গা করতে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। করোনার মতো মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিদ্যুৎ খুবই প্রয়োজনীয়।’