বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁর রাজ্যে এনআরসি-সিএএ হবে না। তারপর আরও বেশ কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এই নির্দেশ জারি করেছিলেন। আর আজ দিল্লীতে হওয়া সিএএ-এনআরসি বিরোধী বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও, এদিন শিবসেনার তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, বর্তমান নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তাঁদের রাজ্যেও লাগু করতে দেওয়া হবে না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সুর বদল করেছেন।
বিহারে আগাগোড়াই এনআরসি-র বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন নীতীশ। মহারাষ্ট্রে শিবসেনাও তাই। কিন্তু সিএএ নিয়ে জেডিইউ ও শিবসেনার সমর্থন ছিল প্রকাশ্যে। এর সমর্থনে সংসদে ভোট দিয়েছিল দুই পক্ষই। কিন্তু এদিন নীতীশকে বলতে শোনা যায়, সিএএ নিয়ে আলোচনা হবে। যা একপ্রকার ইউ-টার্ন মারা হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারপর শিবসেনাও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, সিএএ মহারাষ্ট্রে লাগু হচ্ছে না। সিএএ অবশ্য আইনে পরিণত হওয়ার আগে এই বিলের সমর্থনে লোকসভায় ভোট দেয় সেনা। কিন্তু শরিকি ক্ষোভের মুখে রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করে। সেই অর্থে সেনাও যে আইন নিয়ে ইউ-টার্ন মেরেছে তা বলাই যায়।
যদিও এদিন সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে হওয়া দিল্লীর বৈঠকে কোনও শিবসেনার নেতা উপস্থিত ছিলেন না। তবে একে কেবল কিছুটা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। বৈঠকে উপস্থিত না থাকতে পারলেও শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের মধ্যে যে কোনও মনোমালিন্য নেই, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয় বলেন, ‘আমাদের এই বৈঠক সম্পর্কে বিশেষ জানা ছিল না। আমন্ত্রণও পাইনি, তাই সেখানে যাওয়ার কথা কিছু ভেবে দেখিনি।’