বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, দিল্লীতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক বয়কট করবেন তিনি। সেইমতই এদিন দিল্লীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। আর এদিন ধর্মতলার ধর্ণামঞ্চে উপস্থিত হয়ে পরোক্ষে সেই বৈঠকে না যাওয়া নিয়ে যে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই, তাও স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। বললেন, ‘সিএএ-র বিরুদ্ধে তৃণমূলের চেয়ে জোরালো প্রতিবাদ কেউ করেনি।’ সেইসঙ্গে তিনি নাগরিক সমাজের আন্দোলনকেও কুর্নিশ জানান।
তবে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে না যাওয়ার কারণ যে এরাজ্যে সিপিএম আর কংগ্রেসের একযোগে তাঁকে আক্রমণ এবং বনধ সফল করতে অশান্তি সৃষ্টি, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘সিপিএম-কংগ্রেস বাস পুড়িয়ে, বোমা মেরে হিংসার আন্দোলন করেছে, ওটা কোনও আন্দোলনই নয়। আমি বরাবর হিংসার বিরোধী।’
এদিন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতে বিরোধীরা বৈঠকে বসেছিলেন। তবে সেই বৈঠকে দেখা গেল না বিরোধী ঐক্য। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী, আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। আপ-কে এই বৈঠকে ডাকাই হয়নি বলে জানা গিয়েছে। আসেননি শিবসেনার কোনও প্রতিনিধিও। কংগ্রেস ছাড়া ১৯টি বিরোধী দলের উপস্থিতিতেই বৈঠক করলেন সোনিয়া-রাহুল-মনমোহনরা। গরহাজির ডিএমকে ও বিএসপিও।
গত বৃহস্পতিবারই বৈঠকে না যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মমতা। বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, ‘এরা ঘোলা জলে মাছ ধরছে। আমি এসসি/এসটির উন্নয়ন করেছি, আর এরা বাসে আগুন দিয়েছে। এরা কোনও দিন বিজেপির পক্ষে, কোনও দিন বিপক্ষে।’ তারপরই জানিয়ে দেন যে, তিনি ১৩ তারিখের দিল্লী সফর বাতিল ঘোষণা করছেন। মমতা বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে নেই। আমি একাই সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে লড়াই করব। রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না।’