শিশুমৃতু নিয়ে সাঁড়াশি চাপে বিহারের নীতিশ কুমারের সরকার। এনসেফালাইটিসে ১২০-টিরও বেশি শিশু মৃত্যুর ব্যাখ্যা চেয়ে কেন্দ্র ও বিহার সরকারকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার এই রোগ মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সাত দিনের মধ্যে বিহার সরকারকেএ বিষয়ে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা চলতে দেওয়া যায় না। এর উত্তর চাই’। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ও বিহার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মুজফ্ফরপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত।
গত প্রায় এক মাস ধরে মূলত মুজফ্ফরপুর-সহ বিহারের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ আকার নিয়েছে এনসেফ্যালাইটিস। শতাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা দেড় শতাধিক। এই প্রেক্ষিতেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক মনোহর প্রতাপ এবং এস আজমণি। তাঁদের অভিযোগ, বিহার সরকার যে সব পদক্ষেপ করেছে, তা পর্যাপ্ত নয় এবং রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুই মামলাকারীর দাবি ছিল, শীর্ষ আদালতের উচিত, এই রোগ যাতে মহামারির আকার না নেয়, তা দেখতে বিহার সরকারকে উপযুক্ত নির্দেশিকা দিক সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার মামলার শুনানি হয় বিচারপিত সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি বি আর গবাই-এর বেঞ্চে। শুনানিতে বিহার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এনসেফ্যালাইটিস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। নীতীশ কুমার সরকারের আইনজীবীরা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য ১০ দিনের সময় চান।
কিন্তু দুই বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই অবস্থা চলতে পারে না। এনসেফ্যালাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে কি না, তারা প্রয়োজন মতো ওষুধপত্র পাচ্ছে কি না, হাসপাতালগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছ কি না – সে সব বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ১০ দিন পর ফের মামলার শুনানি।