১৪৪ ধারা অমান্য করে দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষর ‘অভিনন্দন যাত্রা’-কে কেন্দ্র কের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গঙ্গারামপুর। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। অভিযোগ, এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। দিলীপ ঘোষের সামনেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরেন তাঁরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করারও অভিযোগ উঠে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ইটের ঘায়ে আহত বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার।
শনিবার বিজেপির ‘অভিনন্দন যাত্রা’ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল বুনিয়াদপুরে। মিছিল আটকাতে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশও। কিন্তু পুলিশের বাধা অতিক্রম করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। আর তারপরই চরমে পৌঁছায় উত্তেজনা। এরপর ফের গঙ্গারামপুর শহরে ঢোকার মুখে ফের মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে শহরে ঢোকেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলে পুলিশের দাবি। এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বলে পুলিশের দাবি। বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ দিলীপ ঘোষের সামনেই তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে বিজেপি কর্মী সমর্থদের অভিযোগ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়মিছিল ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গারামপুর। পরিস্থিতি এখন বেশ উত্তপ্ত। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা বলে অভিযোগ।
নিমতায় নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, বিজয় মিছিলের নামে জেলায় জেলায় তাণ্ডব করছে বিজেপি। দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে। তাই আর বিজয় মিছিলের অনুমতি দেবে না প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও বিজয় মিছিল হলে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এদিন দিলীপ ঘোষের ‘অভিনন্দন যাত্রা’কে কেন্দ্র করে গঙ্গারামপুরে তৈরি হল অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির।