ভোটের লড়াই শেষ হতেই টলিউডে পুজোর লড়াই নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। টলিউডের বিভিন্ন প্রযোজক সংস্থাগুলির সূত্রে যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এই পুজোতে ছবির সংখ্যা ৭-এ গিয়ে দাঁড়াতে পারে!
তবে ৭ টি ছবি হোক বা তার বেশি, এতে ক্ষতি হবে সিনেমাগুলিরই। কারণ রাজ্যজুড়ে সিনেমাহলের সংখ্যা ২০০-র কিছু বেশি। ফলে একইসঙ্গে এতগুলো বাংলা ছবি মুক্তি পেলে সিনেমা হল নিয়ে যে টানাটানি পড়বে সেটাই স্বাভাবিক।
টলিউডের নামী প্রযোজনা সংস্থার তরফে আগের বছর এসেছিল ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘ব্যোমকেশ গোত্র’ আর ‘ভিলেন’। এ বার সেই প্রযোজনা সংস্থা থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় আসতে পারে ‘গুমনামী’। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, গত বুধবার এই প্রযোজনা সংস্থার তরফে ট্যুইটের মাধ্যমে জানানো হয়, এবারের পুজোয় ব্যোমকেশ সিরিজের ছবিও আসতে পারে। সে ছবিতে ব্যোমকেশ হিসেবে আবির চট্টোপাধ্যায়কেই যে দেখা যাবে, তা স্বাভাবিক।
কিন্তু এবার ব্যোমকেশ করা নিয়ে বেশ কিছু জট লক্ষ্য করা গেছে। সেই জটগুলির দিকে নজর দিলে উঠে আসছে বেশ কিছু বিষয়। খবর হল, এবারের পুজোতে পাভেলের পরিচালনায় জিতের সঙ্গে আবির চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছবি করার কথা এগিয়েছে। কিন্তু জিতের তরফে শর্ত ছিল, পুজোয় আবিরের আর কোনো ছবি রিলিজ করবে না। কিন্তু ব্যোমকেশে অভিনয় করলে আবিরের এই পুজোর ২ টো ছবি থাকবে। এখন দেখার আবির কোন ছবিটি বাছবেন, আর কোন ছবিটি ছাড়বেন।
অন্য দিকে এই নামী প্রযোজনা সংস্থার আগের ব্যোমকেশ সিরিজের ছবিগুলির পরিচালক ছিলেন অরিন্দম শীল। কিন্তু ব্যোমকেশ নিয়ে এবছর প্রযোজকের তরফে কোনো কথা না এগোনোয় তিনি অন্য ব্যানার থেকে তৈরি করছেন মিতিন মাসি সিরিজের ছবি। তা হলে কি ব্যোমকেশ সিরিজের পরিচালক বদল হবে? নামী প্রযোজনা সংস্থার ব্যোমকেশ কোন পরিচালক করতে পারেন, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। অনেকের ধারণা ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে বিরসা দাশগুপ্তর নামও পরিচালক হিসেবে উঠে আসছে। ব্যোমকেশ লেখার জন্যও টলিউডের নামী এক পরিচালককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তবে জোর টক্কর দেখা যেতে পারে অন্য এক জায়গায়। যদি এই সংস্থা থেকে ব্যোমকেশ পুজোয় মুক্তি পায়, তাহলে এবছর একইসঙ্গে ‘ডবল’ ব্যোমকেশ পেতে পারে দর্শকরা। কারণ ইতিমধ্যেই টলিউডের অন্য একটি প্রযোজনা সংস্থা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ব্যোমকেশ করে পুজোয় ছবি আনছে, তেমনটাই ঘোষণা করে দিয়েছে। এমনকি সে ছবির পোস্টারও রিলিজ হয়ে গেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্যোমকেশের ভূমিকায় পরমব্রত ও অজিতের ভূমিকায় রুদ্রনীল ঘোষকে। সেক্ষেত্রে লড়াই কোন পর্যায়ে যাবে, বোঝাই যাচ্ছে।