বাগানে আজ বসন্ত! আট বছর পর কলকাতা লিগ ফিরল মোহনবাগানে। টানা আট বছর মুখের গ্রাস চলে গিয়েছিল চির–প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। অল্পের জন্য হওয়া যায়নি চ্যাম্পিয়ন। কখনও বা গোলপার্থক্যে কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মঙ্গলবার মিনি ডার্বিতে মহামেডানের কাছে সুভাষ ব্রিগেডের হারের পর অপেক্ষা ছিল কিছু সময়ের। আর কাস্টমসের বিরুদ্ধে জয়ের পরেই বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ভাসল মোহনবাগান সমর্থকরা। হেনরির জোড়া গোলে কাস্টমস চেকিং পেরিয়ে লিগ ঢুকল বাগানের ঘরে।এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়ন সবুজ-মেরুন।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে আধিপত্য নিয়ে খেলল বাগান। তিন মিনিটের মধ্যে কিসেকার গোলই খেলার রঙ পাল্টে দিয়েছিল। এরপর বিরতির এক মিনিট আগে সেই কিসেকার গোলই কাস্টমসের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছিল। এদিন লিগ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী থাকতে মাঠে হাজির ছিলেন প্রায় সব কর্তারাই। যদিও সরকারি ভাবে লিগ পাওয়ার জন্য মোহনবাগানকে মহামেডান ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। এই নিয়ে মোহনবাগান ৩০ বার কলকাতা লিগ পেল। যদিও এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩৯ বার চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল।
পিয়ারলেসের কাছে ইস্টবেঙ্গল হারতেই বাগানের লিগটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছিল। আর যুবভারতীতে মহামেডানের কাছে লাল-হলুদ হারতেই মোহনবাগান একপ্রকার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। এদিন সম্ভাব্য জয় দেখতে মোহনবাগানের গ্যালারি ভরিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সমর্থকরা। তিল ধারণের জায়গায় ছিল না মাঠে। রেফারির শেষ বাঁশির পরেই সমর্থকরাও আনন্দে নেমে আসেন মাঠে। শুরু হয়ে যায় সেলিব্রেশন। পুজোর আগেই রীতিমতো উৎসবের মেজাজ ক্লাব তাঁবুতে। ২০০ কোটির স্পনসরশিপ আগেই এসে গিয়েছে ক্লাবে। এদিন চলে আসল মরসুমের প্রথম ট্রফি।
তবে এসবের মধ্যেও কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী আলাদা সমীহ আদায় করে নিচ্ছেন। গত কয়েকমাসে বাগানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচুর ঝামেলা হয়েছে। ফুটবলারদের বেতন দেওয়া নিয়েও সমস্যা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্পনসর সমস্যাও রয়েছে। কিন্তু এসবের মধ্যেও কোচ তার মধ্যে ফুটবলারদের ফোকাসড রাখতে পেরেছেন। আর সেই কারণেই ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও শংকরলালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাগানের লিগ জয়ের দিন কোচ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেন শংকরলালও।