‘কুচি কুচি করে কেটে শশা
বেসন দুধেতে নিন গুলে
ফিরে যাবে চামড়ার দশা
রাত্রে লাগিয়ে গালে শুলে’
চন্দ্রবিন্দুর সেই বিখ্যাত গানটা মনে আছে? ‘ত্বকের যত্ন নিন’-
সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়৷আর তা যদি পাওয়া যায় চটজলদি ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে তাহলে তো আর কথা ই নেই৷চন্দ্রবিন্দুর মতো আমি ও সহজ ও চটজলদি পদ্ধতির কথা বলব-যাতে সহজে ই আমরা সুন্দর চুল ,ত্বক ও স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারি৷
ড্রাগন ফ্রুট..এই ফলটা আমরা আজকাল নানা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, বিগ বাস্কেটে মাঝে মাঝে ই দেখতে পাই৷এই ফলের গুণাগুন কিছু তথ্য আজ জানাতে চাই৷
যেকোনো ধরনের ফল ই স্বাস্হ্যের পক্ষে উপকারী৷ড্রাগন ফলের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না ৷আম,জাম কাঁঠালের মতো বাঙালি এখনো ড্রাগন ফ্রুটের স্বাদ খুব একটা আস্বাদন করে নি৷কিন্তু এটির খাদ্যগুন সম্পর্কে জানলে হয়ত বাঙালি অন্যান্য ফলের সাথে এটিকে খাদ্যতালিকায় স্হান দেবে৷
এর গুণাবলী জানার অাগে ফলটির সম্পর্কে একটু জেনে নিই৷নামটা শুনেই প্রথমে মনে অাসে হয়তো এটির উৎপত্তি চীনদেশে৷ কিন্তু অাসলে এটির উৎপত্তি হল সুদূর দক্ষিণ আমেরিকায়৷কিন্তু এখন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটির চাষ হয়৷ বর্তমানে থাইল্যান্ড,চায়না ও ভিয়েতনামে ফলটি প্রচুর পরিমানে বিক্রীত হচ্ছে৷
এর নাম ড্রাগন হয়েছে কারণ এর ত্বকটি ড্রাগনের ত্বকের মত হলুদ অথবা লালের সাথে সবুজের মিশ্রণ থাকে৷এই ফলটি ত্বক ,চুল ও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী৷
ত্বকের জন্য:-
(১) বলিরেখা দূর করে৷
(২)ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়৷
(৩) সানস্ক্রিন লোশনের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়৷
(৪)শুষ্ক ত্বকের প্রয়োজনীয় অার্দ্রতা ধরে রাখে৷
চুলের জন্য:-
(১)চুলের কৃত্রিম রংকে ধরে রাখতে সাহায্য করে৷
(২) চুল পড়া কমায়৷
সুস্বাস্থ্যের জন্য:-
(১)কোলেস্টরল কমায়৷
(২)পেটের সমস্যা দূর করে৷
(৩)ব্লাডসুগার কমায়৷
(৪)হিমোগ্লবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷
(৫)রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে৷
(৭)বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে৷
(৬)দাঁত ও হাড়কে শক্ত করে৷
ব্যবহার প্রণালী:–
বলিরেখা দূর করার জন্য
প্রয়োজনীয় উপকরণ:-
১/২ ড্রাগন ফ্রুট,১চামচ দই,
কীভাবে ব্যবহার করবেন:-
ড্রাগন ফ্রুটের ভিতরের অংশটি পেষ্ট করে তার সাথে দই মেশান৷এই মিশ্রণটিকে অাপনার মুখ অার ঘাড়ে ২০ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন৷ এটি সপ্তাহে একবার করে ২ মাস ধরে ব্যবহার করলে এর উপকারিতা দেখতে পাবেন৷
ব্রণর সমস্যায়:–
উপকরণ:-
১/৪ড্রাগন ফ্রুট,৩/৪ কটন বল
কী করতে হবে:-
ড্রাগন ফলের ভেতরের অংশটি বার করে কটন বল দিয়ে ব্রণর জায়গায় লাগান৷ ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন৷ এটি সপ্তাহে দু বার করে ব্যবহার করতে হবে৷
সানস্ক্রিন লোশন হিসাবে:-
উপকরণ:-
১/৪ ড্রাগন ফ্রুটের সাথে,১টা ভিটামিন E ক্যাপসুল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে সেটি ত্বকের রোদে অংশে ৩০ মিনিট লাগান৷ তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন৷এটি একদিন অন্তর লাগালে উপকার পাবেন৷
চুলের কৃত্রিম রং ধরে রাখতে:–
ড্রাগন ফ্রুটের ভিতরের অংশ ব্লেন্ডারে দিয়ে পেষ্ট বানিয়ে সেটিকে চুলে এবং চুলের গোড়ায় লাগান৷ ১৫/২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন৷
স্বাদের দিক থেকে হয়তো ফলটা অতো সুস্বাদু নয়, কিন্তু এই ফলের উপকারিতার কথা ভেবে যদি একে আমাদের বাজারের তালিকায় স্থান দিই তাহলে হয়তো অনেক সমস্যার সহজ সমাধান মিলবে৷