নিজেকে সুন্দর করে তোলার ক্ষেত্রে শুধু সুন্দর একটা পোশাক পরলেই হয়না, সেই পোশাককে যথাযথ ভাবে স্টাইলাইজ না করলে সাজ থেকে যায় অসম্পূর্ণ। এরকমই একটা ভাবনা শোনা গেলো ফ্যাশন ডিজাইনার সোনালি সেনের গলায়। তাঁর ব্র্যান্ডের নাম ‘চড়ুই’। শহরের ফ্যাশনিস্তাদের মধ্যে বেশ অনেকদিন ধরেই ‘চড়ুই’ বেশ পরিচিত একটা নাম। তাঁর ডিজাইন করা পোশাকের মধ্যে মিশে আছে সাবেকিয়ানা। অথচ তা ভীষণভাবে সমসাময়িক। পুজো উপলক্ষে যে পোশাকগুলি সোনালি ডিজাইন করেছেন, আমরা সেখান থেকেই বেছে নিলাম কয়েকটি পোশাক। শুধু ডিজাইন নয়, স্টাইলাইজেশন নিয়েও তিনি নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করেছেন।
কেপ এই মুহূর্তে ফ্যাশনে ইন। নানা ভাবে কেপকে স্টাইলাইজ করা যায়। নীচের ছবিটা দেখুন। আলো ঝলমলে অষ্টমীর রাতে এমন একটা জমকালো কেপ আপনার স্টাইল কোশেন্টকে একটা অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে পারে। ক্রপড হলটার নেক টপ আর মানানসই রঙের স্কার্ট দিয়ে টিম আপ করা হয়েছে। পুজোর ভিড়ে আলাদা করে নজর কাড়তে হলে একটু সাহসী এক্সপেরিমেন্ট করা যেতে পারে।
পুজোর ভিড় এড়াতে রাতে নয়, সারাদিন ধরে প্যান্ডেল হপিং-এর প্ল্যান করেছেন নাকি? তাহলে তো বেছে নিতে হয় একটু আরামদায়ক পোশাক। লং কুর্তি আর পালাজো বেছে নেওয়া যেতে পারে। সব বয়সেই মানায়। একটু অন্য শেডের সবুজ কুর্তি।সলিড কালার হলেও ফ্যাব্রিকের টেক্সচার স্মার্ট লুক তৈরি করেছে। টিম আপ করা হয়েছে ওই একই রঙের পালাজো দিয়ে।মনোক্রমাটিক স্টাইলাইজেশন আর নিট হেয়ার স্টাইলের ফলে একটা শার্প লুক তৈরি হয়েছে।
এই প্যাচওয়ার্ক করা আংরাখাটি কিন্তু উৎসবের দিনে বা রাতে যেকোনও সময়েই পরা যায়।পালাজো দিয়ে টিম আপ করা হয়েছে। গলার চোকারটির দিকে নজর করুন। পোশাকের সঙ্গে সঠিক অ্যাক্সেসরিজের ব্যবহারে সাজের মাত্রাই বদলে যায়।
আচ্ছা রাণী রঙের বুটিদার এই আংরাখাটির জন্য পুজোর কোন দিনটি বেছে নেবেন? নবমীর রাত। তাই তো? চতুর্দিকে আলোর রোশনাই-এর মধ্যে এমন একটা উজ্বল রঙের পোশাকেই তো উৎসবের শেষ বেলার আমেজ ধরে রাখতে হবে। শুধুমাত্র মাথার গয়নায় সাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
পুজোর দিনগুলোতে সকাল হলেই মন ভালো হয়ে যায়।সকালের দিকে পাড়ায় পুজো মণ্ডপে দিলখোলা আড্ডা। সাদা কালোয় মিলেমিশে এই লং ড্রেসটি একেবারে পারফেক্ট পছন্দ। কানে ভারী রুপোর গয়না।
পুজোর যেকোনও দিন সকালে বা রাতে এই সাদা কুর্তিটি পরতে পারেন। খেয়াল করে দেখুন কনট্রাস্ট রঙের প্রিন্টেড প্যান্টস দিয়ে টিম আপ করার ফলে ক্যাজুয়াল পোশাকও ড্রেসি হয়ে উঠেছে। হালকা গয়না আর চুলে ফুলের মালার সাজে উৎসবের ছোঁয়া।
অষ্টমীর সকালের সাজ শাড়ি ছাড়া ভাবাই যায়না। তবে শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজটিও হতে হবে যথাযথ। নীচের এই ছবিটি দেখার পর আর কোনও কথা বলার থাকেনা। মণ্ডপে সবার চোখ আপনাকে ছুঁয়ে যাবেই যাবে।
ক্যাজুয়াল অথচ ফেস্টিভ। এমন একটা লুক চাইলে এই অ্যাসিমেট্রিক র্যাএপ ড্রেসটি দেখুন। দুধরণের প্রিন্টের ব্যবহার নজর টানে। হেমলাইনে সলিড কালারের রেফারেন্সে সামগ্রিকভাবে পোশাকটি হয়ে উঠেছে ক্লাসি অথচ কনটেম্পোরারি।
সলিড কালারের নি লেংথ ড্রেসের সঙ্গে যোগ হয়েছে কনট্রাস্ট রঙের জ্যাকেট। জ্যাকেটের পিঠে প্যাচওয়ার্কটি নজর করতে ভুলবেননা। ওটাই ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। মিনিম্যালিস্ট সাজে উৎসবের সকাল অফুরন্ত প্রাণ খুঁজে পাবে।
সোনালির বুটিকটি আনোয়ার শা রোডে। একটি ফেসবুক পেজও আছে ‘চড়ুই’-এর।সার্চ অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে টাইপ করুন choruyi ।কোনও পোশাক পছন্দ হলে ফেসবুকের মাধ্যমেই যোগাযোগ করতে পারেন।
মিষ্টিমুখ ছাড়া উৎসব হয় নাকি? বাঙালি মিষ্টি তো আছেই, এছাড়াও এই উৎসবের মরশুমে অন্য রকম মিষ্টিও ট্রাই করে দেখতে পারেন। আগামী লেখায় পাবেন তারই সুলুক সন্ধান।