গত ১ নভেম্বর টালা ব্রিজের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে বৈঠন ছিল নবান্নে। এই বৈঠকের পরেই জানা যায় জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ। ব্রিজ ভাঙা কমপ্লিট হলে এক বছরের মধ্যে নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এরপর জানান ওই এলাকার স্থানীয়দের এবং নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করতে হবে। দিন দশেকের মধ্যেই টালা ব্রিজ দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচলও বন্ধ হতে চলেছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। তার আগেই ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে ব্রিজের দুই প্রান্ত।
তবে ছোট গাড়ি যাবে কোন দিক দিয়ে? পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, ছোট গাড়ি চিড়িয়া মোড় এবং চিৎপুর লকগেট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। সম্প্রতি পরিবহণ দপ্তর, পুলিশ এবং বাস মালিকদের মধ্যে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বন্ধ হয়ে যাবে টালা ব্রিজ। অন্যদিকে শ্যামবাজার থেকে ডানলপগামী কোনও বাসই ধরতে পারবেন না যাত্রীরা। উত্তর শহরতলিগামী বাস ধরতে তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে শোভাবাজারে। কারণ বিটি রোডে ওঠার জন্য শোভাবাজার হয়ে রাজবল্লভপাড়া দিয়ে বাস চলে যাবে লকগেট ব্রিজ। সেখান দিয়েই চিৎপুর থানা হয়ে চিড়িয়ামোড় দিয়ে বিটি রোডে উঠবে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় বাসই। এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও হয়ে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই নয়া নিয়ম চালু হতে চলেছে। সেখান দিয়ে লেকটাউন বা নাগেরবাজারে যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে।
টালা ব্রিজে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধের পর বিটি রোড ধরে শহরের দিকে আসা বাসগুলি চিড়িয়ামোড় দিয়ে বাঁদিকে ঘুরে পাইকপাড়া, সেভেন ট্যাঙ্ক বেলগাছিয়া ব্রিজ হয়ে শ্যামবাজারে আসছিল। আবার একইভাবে শ্যামবাজার দিয়ে গিয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজ হয়ে একই রুটে চিড়িয়ামোড় দিয়ে বিটি রোডে উঠত। কিন্তু এবার থেকে তা আর হবে না। বেলগাছিয়া ব্রিজের যানজট এবং ভার কমাতে বাস শোভাবাজার দিয়েই সোজা চলে যাবে লকগেট ব্রিজের দিকে। এতে যেমন আরজিকর রোডে যানজট কম হবে। তেমনই ব্রিজের উপর চাপও কমবে। শুধু সমস্যা হবে শ্যামবাজারের যাত্রীদের সিঁথির মোড়ের দিকে আসতে। দফতরের এক কর্তার কথায়, কিছু তো করার নেই। সমাধান একটা বের করতে হবে। ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই। গাড়ি তো বন্ধ করতেই হবে। আর বাসগুলোও ওয়ান ওয়ে করে দিলে যানজট কমবে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, অটো থাকবে। তবে রুট ভেঙে দেওয়া হবে। অর্থাৎ সিঁথি থেকে টালা ব্রিজের আগে পর্যন্ত চলবে একদিকের অটো। আবার শ্যামবাজার থেকে টালার যে অংশ ভাঙবে তার আগে পর্যন্ত চলবে উলটোদিকের অটো। সেক্ষেত্রে কমিয়ে দেওয়া হবে ভাড়াও। ইতিমধ্যেই ব্রিজ সংক্রান্ত যাবতীয় সমীক্ষা শেষ। ব্রিজের নতুন মডেলও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার ভাঙা শুরু হওয়ার অপেক্ষা।