খুব পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছিল হায়দ্রাবাদের পশু-চিকিৎসককে। সেই খুনের কিনারা করতে গিয়ে সামনে এসেছে পরিকল্পনার কথা। ওই তরুণীর স্কুটারের চাকা পাংচার করে দেওয়া হয়েছিল ইচ্ছে করেই। সারিয়ে দেওয়ার নাম করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই স্কুটার। তার পরে চার জন মিলে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল। এর পর গণধর্ষণ করেছিল তাঁকে। সবশেষে খুন করে পেট্রল-ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছিল দেহটা।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধে ৬টা নাগাদ টোল প্লাজায় তরুণী চিকিৎসককে স্কুটার রাখতে দেখেই তাঁকে ধর্ষণের ছক কষেছিল চার অভিযুক্ত। সেখানে বসে মদ খাচ্ছিল তারা। তরুণী ট্যাক্সিতে চলে যেতেই স্কুটারের চাকা ফাঁসিয়ে দেয় নবীন। তরুণী ফিরে আসার পরে আরিফ বলে, চাকা তারা সারিয়ে দেবে। এর পর স্কুটার নিয়ে শিবা চলে যায়। তখন আরিফ, নবীন এবং চিন্তকুন্ত টোল প্লাজার কাছেই একটি জায়গায় টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তরুণীকে। চাকা সারিয়ে ফিরে এসে ধর্ষণ করে শিবাও। তরুণীর মুখ চেপে ধরে আরিফ। তরুণী নিথর না-হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখ থেকে হাত সরায়নি সে। এর পরে স্কুটারটি নিয়ে কয়েক বোতল পেট্রল কেনে দু’জন। অন্য দু’জন আরিফের লরিতে দেহ নিয়ে যায় আন্ডারপাসে। কিছুটা ডিজেল বার করা হয় তরুণীর স্কুটার থেকেও। এর পরে আন্ডারপাসের এক কোণে দেহ নামিয়ে তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালায় তারা। পরের দিন ভোরে এক দুধ-বিক্রেতা সেখানে দেহটি জ্বলতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। পেশায় এই চারজনই ট্রাক চালক।
অন্যদিকে ওই তরুণীর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, পুলিশকে খবর দেওয়া পর পুলিশ ওই তরুণীর ফোন ট্র্যাক করতে অস্বীকার করে পুলিশ। কর্মী না থাকার দরুণ ফোন ট্র্যাক করা যাবে না বলে পরিবারের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। যদিও ফোন নিয়েই প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করেছেন তেলঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি। এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়েছে।