ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, সন্দেশখালির বহু এলাকা প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। ১০ দিন কেটে গেলেও বহু জায়গায় এখনও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে আছে। এলাকায় নেই পানীয় জল সরবরাহ। তাই পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে গ্রামে হাজির ভ্রাম্যমান জল শোধনের গাড়ি। বুলবুলের পর সুন্দরবনে পানীয় জলের জোগান দিয়ে চলেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের গাড়ি।
হিঙ্গলগঞ্জে এখনও প্রতিদিন জলের পাউচ তৈরি করে চলেছে রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের গাড়ি। যে কোনও জলাশয় থেকে জল নিয়ে তা শোধন করে ঘণ্টায় ২ হাজার লিটার বিশুদ্ধ জল তৈরি করে প্যাকেট করতে পারে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হাসনাবাদ সাব ডিবিশনের সহকারি বাস্তুকার কল্লোল বিশ্বাস বলেন, “বুলবুলের পর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ব্লকে আমাদের পানীয় জল সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের ‘মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ খুব কাজে এসেছে। এই ক’দিনে ৩ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি ৩৫০ মিলিলিটারের জলের পাউচ তৈরি করে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে”। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এখনও সন্দেশখালি ২ ব্লকে আমাদের জলের পাউচ পাঠানো হচ্ছে।
হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি সুদীপ মণ্ডল বলেন, ‘পিএইচই–র গাড়ি ঘণ্টায় ৪ হাজার পাউচ তৈরি করে দিয়েছে। সেই পাউচ গাড়ি করে আমরা বুলবুল কবলিত গ্রামে দুর্গত মানুষের হাতে দিয়ে অন্তত তৃষ্ণার জলটুকু দিতে পেরেছি’। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সৌরশক্তি চালিত ছোট প্রযুক্তিও কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জের চাঁড়ালখালি গ্রামে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পুকুরের জল শোধন প্রকল্পে বহু দূরবর্তী গ্রামের মানুষ উপকৃত হয়েছন।