দিন দুয়েক আগেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ রাফাল চুক্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। তবে বেঞ্চের অন্য বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও বিচারপতি কে এম জোসেফ তাঁর রায়ে বলেছেন, কোনও গুরুতর অপরাধ হয়ে থাকলে অবশ্যই এফআইআর হওয়া উচিত। যাঁরা মামলা করেছেন তাঁরা চাইলে প্রমাণ নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে যেতে পারেন। জোসেফের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আগেই ময়দানে নেমে পড়েছিল কংগ্রেস। আর এবার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও প্রাক্তন বিজেপি নেতা অরুণ শৌরি এই দাবি জানালেন যে, রাফাল কান্ডে এক্ষুনি এফআইআর করুক সিবিআই। সরকারের অনুমতি চাওয়া হোক। তা না হলে তদন্ত না করার কারণ জানাক সিবিআই।
জোসেফের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই সাংবাদিকদের সামনে ভূষণ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ সত্ত্বেও সিবিআইয়ের উচিত তাঁদের অভিযোগের তদন্ত করা। যদি সিবিআই সেটা না করে তাহলে তাঁরা আবার সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হবেন। নিজেদের দাবির যুক্তিতে বিচারপতি কে এম জোসেফের রায়ের উল্লেখ করেছেন তিনি। ভূষণের কথায়, ‘সিবিআই-এর উচিত এই মামলার তদন্ত করার জন্য সরকারের অনুমতি চাওয়া। এজন্য ৩ মাস সময় আছে। তদন্ত না করলে তার কারণ জানানো উচিত।’ শুক্রবার প্রশান্ত ভূষণ ও শৌরি সাফ জানান, সিবিআই যদি এফআইআর না করে তবে আবারও সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরে রাফাল কাণ্ডে সিবিআইকে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি নিয়ে মামলা করেছিলেন প্রশান্ত ভূষণরা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় পুনর্বিবেচনার বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। একই মর্মে গত ১৪ জানুয়ারি আদালতে আবেদন করেছিলেন যশোবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি এবং প্রশান্ত ভূষণ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সব ক’টি আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে তিনজন বিচারপতির একজন কে এম জোসেফ বলেন, তাঁদের রায়ের অর্থ এই নয় যে সিবিআই স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারবে না। এমন তদন্তের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের ‘সর্বোচ্চ মান’, অনমনীয় সাবধানতা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখাই কাম্য বলে তিনি জানিয়েছেন।