বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। বসে গেছে গাড়ি ব্যবসার চাকা। মূলত বেহাল অর্থনীতি, জিএসটি, বাজেটে বৈদ্যুতিক গাড়িকে গুরুত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং সর্বোপরি প্রতিদিনই পেট্রল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলায় গাড়ি কেনার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের ঝোঁক কমছে। যার ফলে শুধু চারচাকাই হয়, মন্দার কোপে দু’চাকার গাড়িও। এই কারণেই এবার দেশে নতুন করে লগ্নীর পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখল সুজুকি মোটর ইন্ডিয়া।
প্রসঙ্গত, দেশে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই লগ্নীর পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেল বিক্রিতে ভাটার টান চলায় চিন্তিত সুজুকি মোটর। তাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে দূষণ রোধে ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে দেশে নতুন গাড়িতে ভারত স্টেজ-৬ বিধি চালুর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এটি চালু হবার পরে বাজারে কী প্রভাব পড়ে সে দিকে তাকিয়ে আছে এই দু’চাকার গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাটি। এছাড়া ই-বাইক ঘিরে একাংশের মধ্যে উৎসাহ দেখা দেওয়ার বিষয়টিও তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে সুজুকি মোটর। এই সব কারণেই ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধির ভাবনা থেকে আপাতত সরে এসেছে সুজুকি মোটর।
এই প্রসঙ্গে সুজুকি মোটর ইন্ডিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট (সেলস, মার্কেটিং অ্যান্ড আফটার সেলস) দেবাশিস হন্ডা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির ভাবনা আমাদের আছে। সে জন্য নতুন উৎপাদন কেন্দ্র প্রয়োজন। তবে এই মুহূর্তেই আমরা সে পথে হাঁটছি না। বিএস ৪ থেকে বিএস ৬-এ উন্নিত হওয়ার বিষয়টি বাজারে কী প্রভাব ফেলে তা দেখা প্রয়োজন। ব্যাবসার ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেদিকেই আমরা নজর রেখেছি।’ উল্লেখ্য, মন্দার ফলে সম্প্রতি নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড-কেও। জানা গেছে, গত বছর জুলাইয়ের তুলনায় এ বছর জুলাইয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ বিক্রি কমেছে সংস্থার।