সব ঠিকঠাক থাকলে, ২০২০ সালেই গগনযানের মহড়া-উৎক্ষেপণ করতে চলেছেন ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানীরা। সেই উৎক্ষেপণ সফল হলে, ২০২১-এই তিন জন মহাকাশচারী নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমাবে, ‘গগনযান’। চন্দ্রযান-২ পুরোপুরি সফল না হলেও তার সফলতা কোনো অংশে কম নয়। দেশবাসী ভেসে গেছে আবেগে।
কিছু ব্যর্থতা এসেছে আবার তা কাটিয়েও উঠেছে। এত দিন ধরে মহাকাশ চর্চার আঙিনায় কম সাফল্য পায়নি ভারত। চাঁদে গবেষণা চালানো হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। মঙ্গল গ্রহেও পাঠানো হয়েছে মহাকাশযান। চন্দ্রযান ২ তো একেবারে চাঁদের মাটিতে নেমে গবেষণা চালাতে চলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহাকাশে মানুষ পাঠায়নি ভারত। গগনযান অভিযান সেই স্বপ্নই সফল করবে।
ইসরোর অন্দরমহলে ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে মানুষ পাঠানোর মহাকাশযান গগনযান। এতে তিন জন মানুষ মহাকাশে যেতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায়, সাত দিন পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করতে পারবে এই গগনযান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এক বার সফল উড়ান হয়েছিল এই যানের। তবে তখন তাতে মানুষ ছিল না। সব ঠিক থাকলে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই মানুষ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা এই গগনযানের। সাত টনের এই মহাকাশযানে তিনজন মহাকাশচারী থাকবেন। ডঃ শিবন বললেন, “ভারতীয় মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।” তিনি জানান, গগনযানের জন্য বাছাই করা মহাকাশচারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই গগনযান সম্পূর্ণ হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। এই বিপুল দায়িত্ব পালন করার পথে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গগনযান অভিযান সম্পূর্ণ হলে ভারতই হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ, যারা মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছে। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিন এই সাফল্য অর্জন করেছে। আজই ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে টুইট করা হয়েছে, এই মহাকাশচারী বাছাইয়ের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছে তারা। সব রকম পরীক্ষা করে কয়েক জন সেনাকে নির্বাচিত করা হয়েছে এই অভিযানের পরে। আরও অনেকগুলি স্তরে বাছাইয়ের পরে তিন জনকে নির্ধারিত করা হবে শেষমেশ।