গত দু’মাস ধরে তিনি প্রায় প্রতিদিনই বিদেশি ফুটবল জগতের খবরে ছিলেন। বার্সেলোনা না রিয়েল মাদ্রিদ, কোথায় যাবেন তা নিয়ে রোজই তৈরি হচ্ছিল নতুন জল্পনা। ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হওয়ায় তাঁকে থাকতে হচ্ছে প্যারিস সাঁজাঁ–তেই। অবশেষে চোট কাটিয়ে, বিতর্ক এবং জল্পনা সরিয়ে মাঠে নেমেই ফুল ফোটালেন নেইমার। তাঁর করা গোলেই শুক্রবার কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে ২–২ ড্র করল ব্রাজিল।
এদিন তিন মাস পরে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। ম্যাচের ফলে প্রভাব ফেলতে লাগল ১৯ মিনিট। তাঁর কর্নার থেকে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ক্যাসেমিরো। তবে দলের দুই তারকা জেমস রডরিগেজ এবং রাদামেল ফালকাওকে ছাড়াও কলম্বিয়া লড়ল মূলত লুইস মুরিয়েলের কারণে, যিনি এদিন জোড়া গোল করলেন। ৫৮ মিনিটে দানি আলভেজের পাস থেকে দেশের হয়ে ৬১তম গোল করলেন নেইমার।
ম্যাচের পর নেইমারের–প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ টিটে। তিনি বললেন, ‘ভেবেছিলাম প্রথমার্ধেই ওকে তুলে নেব। কিন্তু নেইমারের ইচ্ছে এবং শারীরিক শক্তিকে সম্মান দিয়েই ওকে পুরো ম্যাচ খেলাই।’ সতীর্থ আলভেজ বলছেন, ‘নেইমারের খেলা দেখা মানে চোখের শান্তি। ও যেটা ভাল জানে সেটাই করল এবং দেশের হয়ে একই খিদে দেখতে পেলাম।’
নেইমার নায়ক হওয়ার দিনেই আবার বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তোমিউ জানিয়েছেন, পুরনো ক্লাবে ফিরে আসার জন্য সমস্ত চেষ্টাই করেছিলেন ব্রাজিলীয় তারকা। বার্তোমিউয়ের কথায়, ‘নেইমার নিজেও চেয়েছিল ফিরে আসতে। তবে আমার ধারণা এখন ও নতুন কোনও কৌশল নেবে। কারণ আরও এক বছর ওকে থাকতে হবে পিএসজি–তে। নেইমার আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। কিন্তু সুযোগটা সামনে এসে যাওয়ায় আমরা আগ্রহী হয়ে পড়ি। পিএসজি–র চাহিদা আমরা মেটাতে পারিনি বলেই এই চুক্তি হয়নি।’