‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। এবার এই কর্মসূচীতে যাতে উপকৃত হতে পারেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ তাই দিনভর গ্রামে ঘুরে রাতে দলীয় কর্মীর বাড়িতে থাকছেন দলের নেতা কর্মীরা। শুক্রবার কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার চিলাখানায় দিনভর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর মাধ্যমে জনসংযোগ সারলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে নেন। সেইসঙ্গে কর্মীদের মধ্যে দলের বিভিন্ন সামগ্রী বিলি করা হয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদিকে বলো কর্মসূচী পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতোই এদিন মন্ত্রী সকালেই ওই এলাকায় পৌঁছে যান। চিলাখানার পাঁচটি গ্রামে তিনি এদিন কর্মসূচি পালন করেন। সব জায়গাতেই মন্ত্রীর কর্মসূচিতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। গ্রামেই দলীয় কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাওয়াদাওয়াও সারেন।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, আমরা এদিন চিলাখানায় দিদিকে বলো কর্মসূচী পালন করেছি। অনেকেই এলাকার ও নিজেদের অনেক সমস্যার কথা বলেছেন। আমার সেগুলি নোট করে নিয়েছি। সেই সমস্যাগুলি যে পর্যায়ে সমাধান করা সম্ভব সেগুলি সেই সেই পর্যায়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। যেগুলি জেলাস্তরে সমাধান করা সম্ভব হবে না সেগুলিকে আমরা রাজ্য স্তরে পাঠাব। আমরা দলনেত্রীর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। নির্বাচনের পর বিজেপি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিল। এখন ধীরে ধীরে তা কাটছে। এক ব্যক্তি চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সেটা বাম আমলের ঘটনা। তবুও আমরা ওই ব্যক্তিকে লিখিতভাবে সব জানাতে বলেছি।
অন্যদিকে, দিদিকে বলো কর্মসূচীতে নামলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। দলের রাজ্য কমিটির নির্দেশে শুক্রবার বিকালে তিনি ডাবগ্রাম-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের খোলাচাঁদ ফাঁপড়িতে পাঁচ জন দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান। সেই কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। তারপর শহিদ মোড়ে একটি সভা করেন। সন্ধ্যায় বাঙালিপাড়ায় অনুকুল ঘটক নামে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান। রাতের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সেই বাড়িতে তিনি রাত্রিবাস করেন। মন্ত্রীর এই কর্মসূচি নিয়ে এলাকাবাসীদের একাংশের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
সম্প্রতি দিদিকে বলো কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কোচবিহার জেলাতেও এই কর্মসূচি পালনে নেমে পড়েছে দলের নেতৃত্ব। এর আগে জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মনও এই কর্মসূচির কথা দলীয়ভাবে ঘোষণা করেছিলেন। এদিন রবীন্দ্রনাথবাবু চিলাখানা এলাকায় পৌঁছে স্থানীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে পরপর চারটি সভা করেন। সেখানে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।