বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পরেই ঠিক হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার জন্য নয় কোচ নির্বাচন করা হবে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কপিল দেবের নেতৃত্বে তৈরি হবে কোচ নির্বাচক কমিটি। তবে হঠাৎই যেন বিসিসিআই এর মাথায় বাজ পড়ল। এই কমিটি বেআইনি, এমনই দাবি করে বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত প্রশাসক প্যানেল এই ক্রিকেট উপদেষ্টামণ্ডলী তৈরি করেছে। কিন্তু প্রশাসক প্যানেলের এই ধরনের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি তৈরির কোনও অধিকার নেই। এই ধরনের কমিটি তৈরি হতে পারে একমাত্র বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায়।
একই সঙ্গে তিনি স্বার্থের সংঘাতের ব্যপারটিও উল্লেখ করেছেন। এদিন তিনি দাবি করেন, “ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যই ক্রিকেট সংক্রান্ত অন্যান্য পদে রয়েছেন। এদের সিএসিতে রাখার মানে বিসিসিআইয়ের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি থেকে সরে আসা। সঞ্জীব গুপ্তর দাবি, কপিল দেব এবং শান্থা রঙ্গস্বামী ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। অংশুমান গায়কোয়াড়ও বিসিসিআইয়ের একটি কমিটির সদস্য। তাই, এদের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটিতে নিয়োগ করা মানে বিসিসিআইয়ের নিয়মকে অমান্য করা।”
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই টিম ইন্ডিয়ার নতুন কোচ বাছার জন্য কপিল দেবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছে বিসিসিআই। আগামী ৩০ জুলাই ওই কমিটি প্রথমবার কোচ নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসবে। এরই মধ্যে সঞ্জীব গুপ্তার দায়ের করা এই অভিযোগ, ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
যদিও, এই কমিটি বৈঠকে বসার আগে থেকেই একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রবিবারই নতুন কোচ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন কমিটির অন্যতম সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড়। তিনি কার্যত ফাঁস করে দেন, শাস্ত্রীই কোচের পদে বহাল থাকছেন। অংশুমানের এই বক্তব্য নিয়ে ক্রিকেট মহলে এখনও বিতর্ক চলছে।