এখানে পাহাড় ঘেঁষে সন্ধে নামে আর পাইন সারিদের গায়ে এক শিরশিরানি হাওয়া লাগে। ওরা ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়। লাভায় সারাদিন বৃষ্টি। মেঘেদের আনাগোনা, পাহাড়ে এসে ধাক্কা খেয়ে, উবে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার রাস্তা পিছনে ফেলে তিনটে বিশাল পাকদন্ডী পেরিয়ে লাভায় পৌঁছতেই, ঝেঁপে নামলো বৃষ্টি। পাহাড়ে বর্ষা যারা দেখেনি তারা জানেনা, পাহাড়ের ওই রূপের ধারা। পরের দিন সকালে পাহাড়কে বর্ষায় ভিজে থাকতে দেখা এক অদ্ভুত অনুভূতি।
তিন মোড়ের একটা ছোট্ট গ্রাম লাভা। গ্রামের সবাই সবার সাথে একাত্ব। গুটি কয়েক দোকান, মোড়ে কয়েকটা নুডলসের দোকান। আর একটা ট্রাডিশনাল থুকপার দোকান। খুদে খুদে চোখ, স্ট্রেট চুলের এক সদাহাস্যময়ী মহিলা, গালটা ওয়েদারের জন্য হয়তো লাল হয়ে গেছে। পরিপাটি করে বানিয়ে আনা থুকপায় যখন ধোয়া উড়ছে, তখন লাভা মনাস্ট্রীর গা ঘেষে ভেসে যাচ্ছে মেঘের দল। কয়েকজন লাল বস্ত্র পড়া বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হেঁটে যাচ্ছে মনাস্ট্রীর দিকে। লাভায় সবাই খুব শান্তিপ্রিয়। শান্ত একটা গ্রাম। শহরের ধোয়া, ক্রংক্রিট, বালি, দমবন্ধ করা পরিস্থিতিকে বাদ দিয়ে, শুধু পাখির আওয়াজ, অফুরান হাওয়া, আর অনেকটা শান্তি নিয়ে নিজের দুহাত মেলে বসে থাকে লাভা। যারা শান্তি খুজতে আসে, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। ভালোবাসা মাখিয়ে দুদন্ড শান্তির নিঃশ্বাস নিতে দেয়।