সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিষয়ে সংসদে আলোচনা শুরু করেছে বর্তমান মোদী সরকার। জানা গেছে এই ধারা ক্ষণস্থায়ী। তাই এই ধারা তুলে নিতে তৎপর মোদী-অমিত জুটি। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিষয়ে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
আর তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেছেন, “৩৭০ ধারা ক্ষণস্থায়ী হলে কাশ্মীরও ভারতের সঙ্গে ক্ষণস্থায়ী।” কেন্দ্র ৩৭০ ধারাকে ‘ক্ষণস্থায়ী’ ঘোষণা করলে কাশ্মীরের ভারতে অন্তর্ভুক্তিকরণও ক্ষণস্থায়ী হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন ফারুক আবদুল্লা।
ভারতের সংবিধানের এই ৩৭০ নম্বর ধারা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এই ধারার উপরে ভিত্তি করেই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে। আর্থিক সহ নানাবিধ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা লাভ করে থাকেন ওই রাজ্যের বাসিন্দারা। সেই সুবিধা রদ করার জন্যই গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছে একাধিক সংগঠন। কেন্দ্রে ফের একবার বিজেপি পরিচালিত সরকার গঠিত হওয়ার পরেই ফের জোরাল হতে শুরু করল সেই দাবি।
সোমবার স্বরাষ্ট্র অমিত শাহের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফারুক আবদুল্লা বলেন, “১৯৪৭ সালে কাশ্মীর নিয়ে কাশ্মীরবাসীর মতামত নেওয়ার জন্য গণভোটের দাবি উঠেচিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। তাহলে এখন ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার কথা হচ্ছে কেন?” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “স্বাধীনতার সময়ে রাজা হরি সং কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সেটা আমরা মেনে নিয়েছিলাম। এখন ৩৭০ ধারা ক্ষণস্থায়ী হলে সেই চুক্তিও ক্ষণস্থায়ী ঝয়ে যাবে।”
গত কয়েক বছরে কাশ্মীরের যাবতীয় জটিলতার জন্যে এই মেহবুবা মুফতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ফারুক আবদুল্লা। কারণ বিজেপির সঙ্গে জোট করে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গঠন করেছিল পিডিপি। বলা যেতে পারে, বিজেপিকে কাশ্মীরে ঢোকার রাস্তা দেখিয়েছিলেন এই নেত্রীই। আর সেই জোটের কারণেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মেহবুবা মুফতি। সেই জোট ভেঙে যাওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরে এখন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে।