২০১৪ তে দিল্লীর মসনদে আসার জন্য মোদীর ঝুলিতে ছিল অনেক প্রতিশ্রুতি। তা অনেকাংশেই গত পাঁচ বছরে পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তারপরও দেশের জনগণ আরও একবার মোদীকে সুযোগ দিয়েছেন। সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথগ্রহণও করছেন মোদী। তারপরও থেকে যাচ্ছে অনেক কাঁটা। বেকারত্ব থেকে কৃষক অসন্তোষ একাধিক কারণে বিদ্ধ মোদী সরকার। এমনই এক প্রকল্প ‘নমামি গঙ্গে’। পাঁচ বছর আগে মোদী সরকার গঙ্গাদূষণ রুখতে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন।
ঘোষণার পর কাজ কতটা হয়েছে সেটাই দেখার। মোদীর গৃহীত অনেক প্রকল্পের মতোই এই প্রকল্পটিও গঙ্গার জলে তলিয়ে গেছে। বিগত তিন বছরে গঙ্গা আরও দূষিত হয়ে পড়েছে। নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারণসীতেই গঙ্গার জল হয়ে পড়েছে সবচেয়ে দূষিত। সেখানেই আর গঙ্গা মাকে শুদ্ধ রাখতে পারেনি স্থানীয় যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
২০১৮-২০১৯ এর মধ্যেই গঙ্গাকে সম্পূর্ণ দূষণ মুক্ত করা হবে, এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য মোদি সরকার ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্যতে দেখা যাচ্ছে এক অন্য এক চিত্র। পর্ষদ জানাচ্ছে, এই তিন বছরে গঙ্গার জলে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। গঙ্গার জল পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি এই জলে স্নান করাও উচিত হবে না বলে জানাচ্ছে পর্ষদ। দূষণ রুখতে গঙ্গার গতিপথ জুড়ে ৮৬টি নজরদারির ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছিল। যার মধ্যে মাত্র ৭টি জায়গার জল পানীয় হিসেবে উপযুক্ত, এমনটাই জানা যাচ্ছে সাম্প্রতিক এই সমীক্ষায়। কানপুর, বারাণসী, গাজীপুর, কোসাম্বি এবং প্রয়াগরাজের গঙ্গার জলে মারণ ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে গেছে।
এই যদি সারা দেশের চিত্র হয় তবে পশ্চিমবঙ্গের চিত্র আলাদা। তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের থেকে জল অনেক বেশি পরিষ্কার। সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশের জল শুধুমাত্র স্নানের উপযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার সহ রুদ্রপ্রয়াগ, দেবপ্রয়াগ এবং ঋষিকেশের গঙ্গার জলকে পানীয় এবং স্নানের কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে জানাচ্ছে পর্ষদ।