দুদিন ধরেই চলছিল চলছিল বিজেপির অন্দরে গোপন বৈঠক। অবশেষে মন্ত্রী সভার সদস্য বাছাই করে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে রাইসিন হিলে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান পর্ব সম্পন্ন হচ্ছে। প্রায় ৮ হাজার অতিথির সামনে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নিলেন মোদী। তাঁর সঙ্গে নয়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রায় ৫৮ জন। এদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ও রাজনাথ সিংয়ের পর তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন শাহ। এরপর একে একে শপথ নেন নিতীন গডকরি, নির্মলা সীতারমন, রবিশঙ্কর প্রসাদ। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সদানন্দ গৌড়া, অর্জুন মুন্ডা, হর্ষবর্ধন, প্রকাশ জাওড়েকর, পীয়ূষ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, মুক্তার আব্বাস নকভি, সন্তোষ গঙ্গওয়ার, প্রহ্লাদ যোশী।
উল্লেখযোগ্যভাবে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেননি সুরেশ প্রভু ও মেনকা গান্ধী। এমনকি বাংলা থেকে মন্ত্রীর সংখ্যা-বৃদ্ধির জল্পনা থাকলেও তা দুইয়ের বেশি হয়নি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, বাংলার দুই সাংসদ- বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। অরুণ জেটলি ছাড়াও নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে না সুষমা স্বরাজকেও। তাঁর জায়গায় দেখা যাবে প্রাক্তন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করকে।
বহুচর্চিত এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সারা পৃথিবী থেকে অতিথিরা থাকলেও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টোনায়েক। সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসায় মোদীর মন্ত্রী সভায় বিজেপির শরিক দলের জয়ী প্রার্থীদের দেখতে না পাওয়ার আশাই ছিল। তার জেরেই কিছুটা চিড় ধরেছে বিজেডি দলের প্রধান নীতিশ কুমারের সঙ্গে। তাই এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপেক্ষাই করে গেলেন বিজেডি সুপ্রিমো।