কিছুদিন আগেই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে যোগদান ইতিমধ্যে মোদীকে আরও খানিকটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। এই আবহেই কীভাবে নির্বাচনী প্রচার চালানো হবে, তার চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর।
আগামী দিনে কেন্দ্রের শাসক দলকে তাঁর বাগ্মিতায় কীভাবে তুলোধনা করতে পারেন, সে দিকেই তাকিয়ে দলের ‘উজ্জীবিত’ কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভ থেকেই নির্বাচনী প্রচারের যাত্রা শুরু করবেন প্রিয়ঙ্কা। গত সপ্তাহেই লখনউয়ে রোড শো করে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অভিষেক করেন তিনি। এর পর টানা তিন দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার দলের কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রিয়ঙ্কা আবহাওয়া বোঝার চেষ্টা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে জনসভা করতে পারেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ৪১টি কেন্দ্র তাঁর দায়িত্বে রয়েছে। যার মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর কেন্দ্র রয়েছে। এই দুই কেন্দ্রের মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে চাইছেন তিনি। কারণ মানুষের তীব্র অসন্তোষ জমা হয়েছে। তাই এই দুই জায়গার সভা যে মোদীকে আরও চাপে ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় নিহত উত্তরপ্রদেশের জওয়ানের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে পারেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর পরিদর্শনের খবর পেয়ে প্রয়াগরাজে নেহরুর স্মৃতিবিজরিত সংগ্রহশালা আনন্দ ভবনকে সাজানোর তোড়জোড় চলছে। এমনকি কুম্ভে প্রিয়ঙ্কার প্রচার অভিযানকে অন্য মাত্রা দিতে তৎপর হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের সেবা দলকেও।