বাংলার হাল ধরার পর থেকেই সাধারণ মানুষের সবরকম উন্নতির জন্যে সদা সচেষ্ট থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই অবদানেই আজ সবক্ষেত্রে ‘এগিয়ে বাংলা’। তাঁর জন্যেই বাংলার মাথায় উঠল পরপর তিনবার ১০০ দিনের কাজে সেরা হওয়ার মুকুট। বিরোধীদের হাজারো অভিযোগকে উড়িয়ে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞকে স্বীকৃতি দিতেই হল কেন্দ্রকে৷
যে কেন্দ্র সবসময় বাংলাকে বঞ্চনা করে সেই কেন্দ্রই তার রিপোর্টে জানিয়েছে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে৷ ১০০দিনের কাজে শীর্ষে বাংলা৷ চলতি বছরে রেকর্ড কাজ বাংলায়৷ ৯ লক্ষ পরিবার ১০০দিনের কাজ পায়৷ দ্বিতীয় স্থানে আছে অন্ধ্রপ্রদেশ৷ অন্ধ্রের প্রায় ৪ লক্ষ পরিবার কাজ পায়৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তীসগড়৷ ছত্তীসগড়ের পরেই রয়েছে তেলেঙ্গনার স্থান৷
আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতে হয়েছে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান৷ বেশি কর্মসংস্থানের কারণে দেশের মধ্যে নাম উঠে এসেছে এই পঞ্চায়েতটির৷ এই ছোট্ট পঞ্চায়েত এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঘর মানুষ ১০০দিনের কাজ করে উপকৃত হয়েছেন৷ তবে শুধু ১০০দিনের কাজ বা সর্বাধিক কর্মসংস্থানই নয়, জল সংরক্ষণেও দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বাংলা৷
রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান, ও কোচবিহার জেলা শীর্ষস্থানে রয়েছে। এই জেলা দুটিতেই মূলত ভালো কজ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ ১০০দিনের কাজ নিয়ে এলাকায় তেমন অভিযোগও নেই শ্রমিকদের মধ্যে৷ বরং রাজ্যের এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন বহু গ্রাম্য মানুষ৷ খেয়ে পড়ে বাঁচছে তাদের সংসার৷