অবস্থান বদলেছে মৌসুমী বায়ু। ফলত গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দীর্ঘ অপেক্ষায় ইতি টেনে বৃষ্টি নেমেছে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার সকাল থেকেও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে আকাশ। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী একাধিক জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আলিপুর হাওয়া অফিস স্পষ্ট করেছে, এই বৃষ্টিও কার্যত ক্ষণিকের অতিথি। রবিবার থেকেই ফের পরিবর্তন আসবে আবহাওয়ায়। গত ৩১শে মে থেকে ইসলামপুরে আটকে ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তবে এখন তা নিজের জায়গা ছেড়ে কিছুটা এগিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার অনুকূল পরিবেশও তৈরি। কিন্তু আগামী কয়েকদিনে সেভাবে স্বস্তির বৃষ্টি পাবে না দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। আপাতত যে আবহাওয়া সেটাও বদলে যেতে চলেছে আগামী রবিবার থেকে। হাওয়া অফিস বলছে, রবিবারের থেকে বৃষ্টি কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আবার বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। এই মুহূর্তে তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। তা আরও কিছুটা কমতে পারে আগামী দু’দিনে। তবে রবিবারের পর বৃষ্টির পরিমাণও কমে যাবে। বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলেও দক্ষিণের কোনও জেলায় এখনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের একেবারেই বিপরীত। সেখানে চলছে ক্রমাগত দুর্যোগ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার এবং রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও তা পুরোপুরি থামবে না। বরং সোমবার থেকে আবার বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এদিকে একটানা বৃষ্টির কারণে তিস্তাবাজার এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বুধবার পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় রাতভর প্রবল বর্ষণের পর ফের ধস নেমেছে রবিঝোড়া, লিকুভিরের মতো জায়গাগুলিতে। হাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ধস এবং দৃশ্যমানতা আরও কমে যেতে পারে। ট্রাফিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে। যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হতে পারে। একই সঙ্গে নীচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ফলে শস্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঁচা বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা।