প্রতিশ্রুতি রাখলেন ঘাটালের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দীপক অধিকারী ওরফে দেব। এই নিয়ে তৃণমূলের টিকিটে টানা তিনবার জিতে সাংসদ হয়েছেন তিনি। ‘যত ভোট তত গাছ’ লাগানোর অঙ্গীকার করেছিলেন দেব। এবারের ভোটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়কে দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন। আর নির্বাচনে জয়ী হবার পরই প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজে লেগে পড়লেন দেব। সবং বিধানসভার উচিৎপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গাছের চারা লাগালেন তিনি। বললেন, “নোটা বাদ দিয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে শাসক-বিরোধী মিলিয়ে মোট যত ভোট পড়েছে, ততগুলো গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সেই সংখ্যাটা ১৫ লক্ষের কাছাকাছি। ৫ বছর ধরে সাতটি বিধানসভা এলাকায় এই গাছ লাগানো হবে।” সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান দেব। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে দেব বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাই। রাজনীতি ভুলে টাকা না আটকে কাজ করবেন এটা আশা রাখি।” প্রতিপক্ষ হিরণকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমি কখনওই ব্যক্তি বিশেষ নিয়ে কোনও মঞ্চে বক্তব্য রাখিনি। তাই হিরণকে শুভেচ্ছা।” রবিবার সবং, ডেবরা, পিংলা, কেশপুর, দাসপুর, ঘাটাল, পাঁশকুড়া এলাকায় জুড়ে সারাদিন গাছ লাগানোর কর্মসূচি চলে। প্রথম দিনেই দশ হাজার গাছ লাগানো হয়।
ভোটের আগে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে সংবাদ মাধ্যমকে ঘাটালের লোকসভার সাংসদ দেব জানিয়েছিলেন, তার লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকায় যত ভোট পাবেন, তত গাছ লাগাবেন। নির্বাচনে জয় লাভ হওয়ার আগেই দেবের তরফে গাছের চারা কেনার জন্য দশটি নার্সারিকে বরাত দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। দেব ভোট পেয়েছেন ৮৪১১৯৫টি। বিজেপির থেকে তার ব্যবধান রয়েছে ১৮৩৩৭। আকাশবনি, শাল, সেগুন, শিশু, আম, কাঠাল, জাম ইত্যাদি গাছ লাগানো হবে ঘাটল জুড়ে। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে পাঁশকুড়া বিধানসভা বাদ দিয়ে বাকি ৬টি বিধানসভা এলাকায় জয় লাভ করেছেন দেব। পোস্টাল ব্যালটে ৪০৮টি ভোট বেশি পেয়েছেন হিরণের থেকে। বিজেপি প্রার্থী হিরণের প্রাপ্ত ভোট ৬৫৭৮৫৮। সব থেকে বেশি ব্যবধান রয়েছে কেশপুর বিধানসভায়। সেখান থেকে ১০৩৩৫৮ ভোটে এগিয়ে দেব। আর পাঁশকুড়া কেন্দ্রে মাত্র ১৭৬ ভোটে এগিয়ে বিজেপি। মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার এলাকায় ৩২৬৮৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছে দেব। তাই এদিন মানসবাবু বলেন, সবং এলাকায় ৩৩ হাজার চারা গাছ লাগানো হবে। তাছাড়া প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডেবরার বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের এলাকায় ৫৮২৭ ভোটে পেয়ে এগিয়ে দেব। বিধায়ক অজিত মাইতির পিংলা বিধানসভা এলাকায় তিনি এগিয়ে রয়েছেন ১৯৯১৩ ভোটে।