কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়ে অনেকে বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। কারণ বিজেপির ইশারাতেই তাঁরা কাজ করে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে আবারও ইডি-সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, যাঁদের অনেক টাকা আছে, ভয় পাচ্ছে যে ইডি-সিবিআই বাড়িতে চলে আসবে, তাঁরাই বিজেপিতে চলে যায়। আসলে চোর-ডাকাতদের বিজেপি ছাড়া গতি নেই, ওটা পকেটমারের দল। আক্রমণ মমতার।
বাংলায় বহু দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। সন্দেশখালির সঙ্গে আবার ভূপতিনগরের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা বেড়েছে। সেই নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের শেষ নেই। তাঁদের দাবি, ভোটের মুখে রাজ্যের শাসক দলকে চাপে ফেলতেই বারবার ইডি, সিবিআই, এনআইএ-র মতো সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গেই মমতার বক্তব্য, সবচেয়ে বড় চোর বিজেপিই। গরীব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে, ১০০ দিনের টাকা লুঠ করছে। এদিকে, অনেক নেতাকে ভয় দেখিয়ে দলে টানছে।
উত্তরবঙ্গে বিগত নির্বাচনগুলিতে ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল। বিজেপির রেকর্ড সেই অর্থে যথেষ্ট ভাল। সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তাঁর জনসভায় যারা এসেছেন তাঁদের মমতা মনে করিয়ে দেন, ”আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছেন। আর ওরা দিল্লিতে গিয়ে টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে।” যুবসমাজের কাছে মমতার আবেদন, বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছি। দেশটাকে বাঁচান!
বিজেপি যে এবারের নির্বাচনে ২০০ আসন পার করতে পারবে না, তা আগেই দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশাবাদী, যে রাজ্যে যে বিরোধী দল ক্ষমতায় আছে তারা সেখানে জিতবে। যেমন তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালরা। তবে তাঁর এও আশঙ্কা, বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে নির্বাচন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এক দেশ, এক নির্বাচন করে দিতে পারে তাঁরা। তাই কখনই বিজেপিকে ভোট দেওয়া যাবে না। বরং এই ভোট বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়ানোর ভোট হোক, বার্তা মমতার।